সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : হবিগঞ্জে আবাসিক হোটেলে বিষক্রিয়ায় আলমগীর মিয়ার (৪০) মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের চতুর্থ স্ত্রী তানিয়া আক্তার।
আদালতে তিনি জানান, শুধু শ্বশুরবাড়ি থেকে মর্যাদা না পাওয়ার ক্ষোভেই তিনি স্বামীকে মদের সঙ্গে কৌশলে বিষ মিশিয়ে হত্যা করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে তানিয়া আক্তারের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
নিহত আলমগীর সদর উপজেলার সুলতান মাহমুদপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে। তার চতুর্থ স্ত্রী তানিয়া আক্তার বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের লুৎফুর রহমানের মেয়ে।
বুধবার সদর মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তানিয়া আলমগীরের চতুর্থ স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ি থেকে মর্যাদা না পাওয়ার ক্ষোভে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তানিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী শহরের সিহাব রেস্ট হাউসে উঠে তারা একটি কক্ষ ভাড়া নেন। সেখানে মদের সঙ্গে কৌশলে বিষ মিশিয়ে স্বামী আলমগীরকে পান করান।
তিনি জানান, স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে হোটেল কর্মীদের সহায়তায় হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতাল থেকেই তানিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। আদালত স্বীকারোক্তি গ্রহণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, তারা দুজন গত ২৩ জুলাই হবিগঞ্জ শহরের ‘সিহাব রেস্ট হাউসের’ একটি কক্ষ ভাড়া করে রাতে থাকেন। সকালে হঠাৎ তানিয়া হোটেল ম্যানেজারকে জানান, তার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তাকে সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে কান্নার অভিনয় করেন নিহতের স্ত্রী তানিয়া। এরপর আলমগীরের বাবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তানিয়াকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd