এমসিতে গণধর্ষণ মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ

প্রকাশিত: ৪:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২০

এমসিতে গণধর্ষণ মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ

Manual1 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি সাইফুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য প্রসিকিউশনের কাছে অভিযোগপত্র হস্তান্তর করেন। পরে সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেমের আদালতের অভিযোগপত্রটি দেয়া হয়।

পুলিশ জানায়- গ্রেপ্তার আট আসামির মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণ ও ২ জনের বিরুদ্ধে সহায়তার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ৮ আসামির ডিএনএ রিপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তার কাছে পৌছায়। এতে ৬ জনের সংশ্লিষ্টতা পায় তারা। ঘটনাস্থলের আলামত, বাদী ও ভিকটিমসহ অন্য সাক্ষী ও আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং ডিএনএ প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে অভিযোগপত্র দাখিল করা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Manual7 Ad Code

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধায় সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই গৃহবধূর স্বামী বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৮/৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

Manual5 Ad Code

মামলায় গ্রেফতার ৮ জনই ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই শেষে বুধবার সন্ধ্যায় তা চূড়ান্ত করেছেন।

Manual3 Ad Code

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ। তিনি বলেন, তদন্তকালীন ঘটনাস্থলের আলামত, বাদী ও ভিকটিমসহ অন্য সাক্ষী ও আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং ডিএনএ প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, ধর্ষণে সরাসরি যুক্ত আসামিরা হল- সাইফুর রহমান, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, মো. রবিউল হাসান ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।

অন্যদিকে ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য আসামি করা হয়েছে মো. আইনুদ্দিন ও মিসবাউল ইসলাম রাজনকে। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছে।

গত ২৯ নভেম্বর অভিযুক্ত ৮ আসামির ডিএনএ রিপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এসে পৌঁছেছে। ডিএনএ রিপোর্টে ৬ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে বলে পুলিশের একটি বিশেষ সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ১ অক্টোবর ও ৩ অক্টোবর ২ দিনে এ মামলায় গ্রেপ্তার ৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের পর ঢাকায় সিআইডির একটি বিশেষায়িত ল্যাবে তা পরীক্ষা করা হয়। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রথমে আদালতে এসে পৌঁছায়। পরবর্তীতে এ রিপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তার হাতে আসে।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..