সীমান্তে চোরকারবারিদের দৌরাত্ম্য: বেপরোয়া লাইনম্যান চক্র

প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২০

সীমান্তে চোরকারবারিদের দৌরাত্ম্য: বেপরোয়া লাইনম্যান চক্র

Manual6 Ad Code

ক্রাইম প্রতিবেদক :: সিলেট সীমান্তঘেরা জনপদ। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই জেলার দুই দিকেই আছে ভারত সীমান্ত। এই সীমান্ত এলাকা ঘিরে সক্রিয় একাধিক চোরকারবারিচক্র। সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়তই ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসে এসব চক্র। প্রায় সময়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চোরকারবারি ও ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা পণ্য ধরা পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, চোরকারিদের বিরুদ্ধে জোরালো নজরদারি আছে। তবে এখনো অধরা জৈন্তাপুরের আলোচিত চোরাকারবারীদের নেতা বিজিবি-পুলিশের অবৈধ টাকার লাইনম্যান বেন্ডিস করিম ও তার সহযোগী জামাল, রুবেল, এবং কুমিল্লার ইয়াবা সুমন। এই লাইনম্যান চক্র দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

Manual5 Ad Code

জানা গেছে, সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে পণ্য আনা হয় বাংলাদেশে। অবৈধভাবে আনা পণ্যের মধ্যে আছে কাপড়, কসমেটিকস, বিড়ি, সিগারেট, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক, চা পাতা প্রভৃতি। এছাড়া গরু, মহিষ এবং মোবাইল ফোনের চালানও সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা হয়। এমনকি কিছুদিন আগে অত্যাধুনিক রিভলবারের একাধিক চালান সিলেটের গোয়াইনঘাটের পূর্ব বিছনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে দেশে আনার ঘটনাও ঘটেছে। ওই ঘটনায় গোয়াইনঘাটের চোরকারবারি আরব আলীকে গ্রেফতার করা হয়।

Manual4 Ad Code

জানা গেছে, ভারতের চোরাকারবারিচক্রের সাথে বাংলাদেশের চোরাকারবারিদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে কেউ কেউ চোরকারবারের সাথে জড়িত। সীমান্ত এলাকার এসব চোরাকারবারিদের কারণেই চোরাকারবার থামানো কঠিন হয়ে ওঠছে। কেননা এসব চোরকারবারি রাতের আঁধারে চোরাই পণ্য ভারত থেকে এনে লুকিয়ে রাখে। পরে সুবিধামতো সময়ে এসব পণ্য সিলেট শহরে পাঠানো হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলরা বলছেন, চোরকারবারিদের বিষয়ে তাদের কড়া নজরদারি আছে। ফলে প্রায় সময়ই অভিযানে চোরাকারবারিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, জব্দ করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার চোরাই পণ্য। কিন্তু তারপরও চোরকারবারিদের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। গেল মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক অভিযানে অন্তত ২০ জন চোরকারবারি ধরা পড়েছে।

সর্বশেষ কাল সোমবারও সিলেটের মোগলাবাজার থানাধীন শ্রীরামপুর পয়েন্ট থেকে ৬৬ কেজি ভারতীয় বিস্কুটসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করে র‌্যাব। একই দিন রাতে জৈন্তাপুর থেকে ৯টি বিস্ফোরক ও ডেটোনেটরসহ আরেকজনকে আটক করা হয়। এসব বিস্ফোরক ভারত থেকে আনা হয়েছিল।

Manual2 Ad Code

র‌্যাব-৯ এর এএসপি ওবাইন বলেন, ‘র‌্যাব সবসময়ই চোরকারবারিদের বিরুদ্ধে সজাগ। চোরকারবারিদের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলে।’

Manual7 Ad Code

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) লুৎফর রহমান বলেন, ‘চোরকারবারিদের বিষয়ে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তাদের তালিকাও আছে পুলিশের কাছে। তালিকা ধরে নিয়মিত অভিযান চলে, চোরাকারবারিদের ধরা হয়।’

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..