সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের লেলিয়ে দেয়া ভাড়াটে ক্যাডারদের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি এলাকায় কলেজটির ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
আরএমপির চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, করোনার জন্য এখন মেডিকেল কলেজটি বন্ধ আছে। সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজের হোস্টেলে তাদের রুমে যাচ্ছিলেন শীতের কাপড় বের করার জন্য। তখন কলেজের কর্মচারীরা প্রথমে তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেন।
এরপর তারা বাধা অতিক্রম করে হোস্টেলে যাওয়ার চেষ্টা করলে কর্মচারী ও কতিপয় ভাড়াটে ক্যাডার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ফলে ১০ জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের ভাই টিটু ও মিঠুর নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মচারী এবং বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। লাঠিসোটা লোহার রড দিয়ে ক্যাডাররা শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারপিট করে। কয়েকজন শিক্ষার্থী রক্তাক্ত হয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা জানেন শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে আর লেখাপড়ার সুযোগ নেই। কারণ কলেজটি সরকার বন্ধ ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছে। চলতি সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না বলেও মন্ত্রণালয় বলে দিয়েছে। তারা শুধু হোস্টেলে থাকা কাপড়চোপড় আনতে যেতে চেয়েছিলেন।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদনহীন এ প্রতিষ্ঠানটিতে কয়েক দফায় ২২৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণলয়ের উপসচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কলেজটি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের অন্য যে কোনো মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল শনিবার কলেজটি পরিদর্শনে আসার কর্মসূচি রয়েছে। এর আগের দিনই কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটল।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিত একটি ঘটনা। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল কলেজ পরিদর্শনে আসছে বলেই ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে দাবি তার।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd