আকবর পুলিশ নামের কলঙ্ক: রায়হানের মা

প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২০

আকবর পুলিশ নামের কলঙ্ক: রায়হানের মা

Manual8 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ভারতে পালিয়ে গিয়ে খাসিয়াদের হাতে আটক হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে দেশে ফেরত পাঠানো ও পুলিশের হাতে তুলে গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রায়হানের মা সালমা বেগম।

Manual4 Ad Code

রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন. আমার ছেলে রায়হানকে যেমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল এভাবে যেন আর কোনও মায়ের বুক খালি না হয়। তিনি তার ছেলে রায়হানের হত্যাকারী এসআই আকবরের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানান এবং এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Manual1 Ad Code

এসময় তিনি বলেন, আকবর পুলিশ নামের কলঙ্ক। সে একজন অপরাধী। আমার নিরাপরাধ ছেলেকে হত্যা করার কারণেই সে পালিয়েছে। আমরা তার ফাঁসি চাই।

উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর শনিবার মধ্যরাতে রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর থেকে ধরে আনে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন ১১ অক্টোবর ভোরে ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান।

রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়িতে ধরে এনে রাতভর নির্যাতনের ফলে রায়হান মারা যান। ১১ অক্টোবর রাতেই রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।

এদিকে, সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখের তত্ত্বাবধানে মহানগর পুলিশের তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

এরপর থেকে প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর বর্তমানে পলাতক ছিলেন। তাকে পালানোতে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২১ অক্টোবর ফাঁড়ির আরেক এসআই হাসানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

তখন গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দুইদিন পরই আকবর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে যান।

এদিকে গত ১৩ অক্টোবর মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল বাতেন।

Manual6 Ad Code

পরে গত ১৫ অক্টোবর পিবিআই সিলেটের আখালিয়া নবাবি মসজিদ কবরস্থান থেকে রায়হানের মরদেহ উত্তোলন কাজ শেষ করে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা যায় ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতেই রায়হানের মৃত্যু হয়।

পিবিআই এঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুন উর রশিদকে দুই দফায় আটদিন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহীকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে তারা কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হননি।

এছাড়া রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী সাইদুর শেখ নামের এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

সোমবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তে ভারতে পালিয়ে গিয়ে ভারতীয় খাসিয়াদের হাতে আটক হন এসআই আকবর। খাসিয়ারা তাকে চিনে ফেলেন এবং ধরে বেঁধে ফেলেন।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় আকবরকে তারা দেশে ফেরত দেওয়ার জন্য হাত-পা বাঁধছেন। এসময় আকবরকে ১০ হাজার টাকার জন্য মানুষ খুন করার ঘটনায় তিরষ্কারও করেন তারা।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2020
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..