সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চাকুরি দেয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে ময়মনসিংহের ত্রিশালের এমপি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী এবং তার পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় জনগন। গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানব বন্ধন অনুুিষ্টত হয়। মানব বন্ধনে বলা হয়, স্থানীয় আবুল কালাম শেখের পুত্রকে পুত্রকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এমপি পুত্র ১৪ লাখ টাকা নেন। চাকুরি না হওয়ায় আবুল কালাম শেখ টাকা ফেরৎ চান।
নানা নাটকীয়তা, দেন দরবারের পর টাকা ফেরৎ পেলেও এমপি পুত্রের রোষানলে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবুল কালাম শেখের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে । আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ত্রিশালের নাগরিক সমাজের ব্যানারে এমপি রুহুল আমিন মাদানী , তার পুত্র ও তাদের বাহিনীর কবল থেকে পরিত্রাণ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী, মানবাধিকার সংগঠন, সচেতন মহল, নারী সংগঠন, গণমাধ্যম কর্মী, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও ত্রিশালের সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহন করেন । মানবনবন্ধনে ভূক্তভোগী আবুল কালাম শেখ বলেন, পুলিশ কনস্টেবল পদে আমার পুত্রকে চাকুরি পাইয়ে দেয়ার নামে এমপি ও তার পুত্র নিজস্ব লোকের মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা নেন । চাকুরি না হওয়ায় নানান নাটকীয়তা ও দেনদরবারের চাপে দুই বারে আমাকে সমূদয় টাকা ফেরৎ দেয় । টাকা ফেরৎ দিলেও গত ৫ নভেম্বর বাসায় ঢুকে জোরপূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেয়। সেই স্ট্যাম্পে তারা মনগড়া লিখে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
মামলা ও গুম করার হুমকি দিচ্ছে। মানববন্ধনে মানবাধিকার কর্মী নাসরিন আক্তার বলেন, এমপি পুত্রের দাপটে ত্রিশালের সাধারণ মানুষ আজ জিম্মী । স্থানীয় সাংবাদিকরা তাদের বিষয়ে লিখলে নিজস্ব লোকজন দিয়ে তারা মামলা করায় । কিছু অসাধু পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে । এমন অনেক ভূক্তভোগী সাংবাদিক আছেন ত্রিশালে,ময়মনসিংহে। শুধু ত্রিশালেই নয় , ময়মনসিংহসহ সারাদেশে যারা তাদের বিরুদ্ধে লিছেন তাদেরকেও গুম করার হুমকি দেয় তারা এবং বাহিনীর লোকজন । মানবাধিকার কর্মী জেসমিন আক্তার বলেন, কয়দিন ধরেই পিতা- পুত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে । যেখানে মাদক নিয়ে সরকার জিরো টলারেন্স সেখানে একজন সাংসদের পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সভাপতি ক্ষোদ এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করেন ? ছাত্রলীগের তরুণ নেত্রী জাহিদা খানম ফেন্সী বলেন, এমপি মাদানী এবং তার দুই পুত্র হাসান মাহমুদ ও প্রিন্স ফরিদপুরের আলোচিত রুবেল বরকতের চাইতেও বেশি টাকা কামিয়েছেন। সৌদী আরবসহ বিভিন্ন দেশে মানি লন্ডারিং টাকা রয়েছে তাদের।
এমপির আত্বীয় স্বজনরাও কোটি কোটি টাকার মালিক। আত্বীয় স্বজনদের টাকা এসব এমপি ও তার পুত্রদেরই টাকা। ছাত্রলীগকর্মী জিয়াউদ্দিন বলেন, হাসান মাহমুদের মত কুলষিত নেতারাই ছাত্রলীগৈর বদনাম করছে । তাকে বহিষ্কার করে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিলে ছাত্রলীগের গৌরব ফিরবে । প্রধানমন্ত্রী শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করে সুনাম অর্জন করেছেন।
এদেরকেও অভিযানের আওতায় আনতে হবে । বাহার উদ্দিন বলেন, রুহুল আমিন মাদানী এমপি হওয়ার আগে যে সম্পদ ছিল এখন তা বেড়ে কয়েকগুণ হয়েছে। তিনি নিজ দলের নেতা- কর্মীদেরকে শায়েস্তা করতে মিথ্যা মামলা ও হামলা করেছেন । এদিকে ভূক্তভোগী আবুল কালাম শেখ নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদের স্পীকারের কাছে একটি আবেদন করেছেন । এরআগেও তিনি আওয়ামীলীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে করেছেন। যা তদন্তাধীন আছেন ।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd