সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : এ যেন দাদা-নাতনির বিয়ে। ১৭ বছরের কিশোরীর সাথে ৬৩ বছরের বৃদ্ধের বিয়ে নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে। জানা গেছে, ঢাকা মিরপুর এলাকার উত্তর পাইকপাড়ার মৃত-সামসুল হকের পুত্র আল নাসের এভিয়েশন সার্ভিসের মালিক আবদুল্লাহ আল নাসের এর সঙ্গে হজ্বে লোক পাঠানোর সুবাধে পরিচয় হয় কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের আতিকুল ইসলামের। ৬৩ বছর বয়সী আল নাসের তার বিয়ের জন্য আতিকুল ইসলামকে পাত্রী খুঁজতে বলেন।
আতিকুল ইসলাম নাসেরের মন জোগাতে ঘটকের মাধ্যমে নিতাই ইউনিয়নের খোলাহাটি গ্রামের আব্দুল মতিনের নাতনি ১৭ বছরের মিম আক্তারকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মেয়েটির নানা গরিব হওয়ার কারণে গত ২৭ অক্টোবর নগদ এক লাখ ২৫ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে ওই বৃদ্ধের সাথে মেয়েটির বিয়ে দেয়া হয়। ২৮ অক্টোবর ওই বৃদ্ধ প্রাইভেট কারে মেয়েটিকে নিয়ে নানা শ্বশুর আব্দুল মতিনের বাড়ি খোলাহাটি গ্রামে আসলে কৌতূহলী গ্রামবাসী বৃদ্ধকে প্রাইভেট কারসহ আটকে রাখে। পরে নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুকসহ এলাকার আরো কয়েকজন বৃদ্ধ আবু নাসেরকে আটকে রেখে রাতভর শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ করার অপরাধে স্টান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড নীলফামারী শাখার অনুকূলে ৬ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করে বৃদ্ধকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা গেছে, মিম আক্তার নিতাই ইউনিয়নের পাগলাটারী ফুলবাড়ি গ্রামের মহুবার মিয়া এবং লুনা বেগমর কন্যা। মেয়েটির বাবা-মা ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করায় খোলাহাটি গ্রামে নানা আব্দুল মতিনের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। মেয়েটি কিশোরীগঞ্জ বিজনেস মেনেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
এ বিষয়ে আল নাসের এভিয়েশন সার্ভিসের মালিক আবদুল্লাহ আল নাসের বলেন, আমি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেছি। নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক জানান, আবদুল্লাহ আল নাসের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি মাত্র ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে মেয়েটিকে বিয়ে করেছেন। দেনমোহর কম হওয়ার কারণে তাঁর কাছ থেকে দেনমোহর বাবদ ৬ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক বিষয়টি সমাধান করে দিতে চাওয়ায় সেখান থেকে পুলিশ চলে আসে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd