সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২০
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: মাদরাসা ছাত্র রবিউল ইসলাম (১২) খুনের ঘটনায় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার গোয়াহরি গ্রামের আজিজুর রহমানের পুত্র ও স্থানীয় দৌলতপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য। সোমবার তাকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলার তদন্তকারি অফিসার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা জানান, ইউপি সদস্য সন্দেহভাজন গ্রেপ্তারকরা হয়েছে। তবে ঘটনার পূর্বে আসামিদের সাথে যোগাযোগ ছিলো আর আসামিদের পালাতে সহযোগীতা করায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ এ পর্যন্ত ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে, রবিউল খুনের মুল হোতা এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি দেখা দিয়েছে। রবিউল হত্যাকারিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে উপজেলা জুড়ে প্রতিবাদ চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নওধার-রহমাননগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের হলে ‘নিখোঁজ’ হয় শিশু রবিউল ইসলাম। পরদিন ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে পাশর্বর্তী বৈরাগীবাজার-সিঙ্গেরকাছ’ সড়কের বাল্লার সেতুর পাশে একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এঘটনায় নিহতের বাবা দিনমজুর আকবর আলী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় খড়পাড়া গ্রামের ছাদিকুর রহমান (৪৫), আব্দুল কাদির (৫০) ও আব্দুল কাদিরের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪০) কে আসামি করা হয়। ঘটনার দিন মাজেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রায় বিশদিন অতিবাহিত হলেও মূল দুই আসামি ছাদিকুর রহমান ও আব্দুল কাদির রয়েছেন পলাতক।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ শামিম মুসা বলেন, অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর ইউপি সদস্যকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd