সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনীকে (২৯) হত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে (৩৪) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর লাবনীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন মনিরুজ্জামান।
মনিরুজ্জামান চৌধুরী পুলিশকে বলেন, লাবনীর সঙ্গে ২০১৮ সালে তার পরিচয় হয়। লাবনী বিবাহিত ছিলেন। এরপর তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।
কয়েক দিন আগে লাবনী লঞ্চে বরিশাল ঘুরতে যাওয়ার বায়না ধরে। রোববার ঢাকা থেকে একসঙ্গে বরিশাল যাওয়ার জন্য পারাবত-১১ লঞ্চে ওঠেন তারা। লঞ্চের কেবিনে লাবনীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে লাবনীকে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে বাসে ঢাকায় চলে আসেন মনিরুজ্জামান।
গ্রেফতার মনিরুজ্জামান চৌধুরী পেশায় রাইড শেয়ার উবারের মোটরসাইকেল চালক। ঢাকার মীরপুর-১ নম্বরের দারুসসালাম এলাকায় বসবাস করেন তিনি। মনিরুজ্জামান এক সন্তানের জনক।
অন্যদিকে লাবনী ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আব্দুল লতিফ মিয়া ও মমতাজ চৌধুরী দম্পতির মেয়ে। বর্তমানে তারা ঢাকার পল্লবীতে থাকেন। লাবনীর স্বামী পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। লাবনী দুই সন্তানের জননী ছিলেন।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঢাকা থেকে বরিশালে আসা যাত্রীবাহী পারাবত-১১ লঞ্চের ৩৯১ নম্বর কেবিন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর নৌ-থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অলোক চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন সদর নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পিবিআইসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট সহায়তা করে আসছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে আব্দুল লতিফ মিয়া বরিশালে এসে উদ্ধার হওয়া মরদেহ তার মেয়ে লাবনীর বলে শনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাবনীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাশাপাশি লঞ্চে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে লাবনীর সঙ্গে থাকা মনিরুজ্জামানকে শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মিরপুর-১ নম্বরে অভিযান চালিয়ে মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লাবনীর ব্যবহৃত ওড়না ও মুঠোফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে তাকে বরিশালে নিয়ে আসা হয়।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুজ্জামান চৌধুরী লাবনীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। বুধবার দুপুরে মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি লাবনী তার স্ত্রী কি-না, নাকি তার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল এবং কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হতে মনিরুজ্জামানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd