সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট থেকে গ্রেপ্তার নব্য জামা’আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে রাজধানীর পল্টনে পুলিশের চেকপোস্টের পাশে গত ২৪ জুলাই বোমা বিস্ফোরণের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এই আদেশ দেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ আসামিকে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক পাঁচজনকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
রিমান্ডকৃতরা হলেন- শেখ সুলতান মোহাম্মদ নাইমুজ্জামান (২৬), সানাউল ইসলাম সাদি (২৮), রুবেল আহমেদ (২৮), আব্দুর রহিম জুয়েল (৩০) ও সায়েম মির্জা (২৪)।
মঙ্গলবার নব্য জেএমবির পাঁচজনকে সিলেট থেকে আটক করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
এদিকে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আটক পাঁচজন নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। তারা কথিত আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঈদুল আজহার আগে বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এর অংশ হিসেবে তারা গত ২৩ জুলাই সিলেটের হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার শরিফে হামলার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু সিলেটে পুলিশের কড়া নজরদারির কারণে তারা ব্যর্থ হয়।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘জেএমবির শূরা সদস্য শেখ সুলতান মোহাম্মদ নাইমুজ্জামানের নেতৃত্বে তারা সিলেটের শাপলাবাগের একটি বাসায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণের আড়ালে সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। এর আগে আটকরা গত ২৪ জুলাই ঢাকার পল্টনের পুলিশ চেকপোস্টের পাশে ও ৩১ জুলাই নওগাঁ জেলার সাপাহার এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে বোমা হামলা করতে সক্ষম হয়।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ সুলতান মোহাম্মদ নাইমুজ্জামান কফি মেকার হিসেবে কাজ করেন। তিনি ২০১৯ সালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স সম্পন্ন করে। তিনি ছাত্রজীবনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি সামরিক শাখার প্রধান প্রশিক্ষক। সামরিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে সিলেটের শাপলাবাগে বাসাটি ভাড়া নেন। সানাউল ইসলাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। রুবেল আহম্মেদ ২০১৬ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ব্লু বার্ড সিলেট শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেন। তিনি সিলেটের টুকেরবাজারে সার, বীজ ও কীটনাশকের ব্যবসা করেন। আবদুর রহিম জুয়েল রেন্ট-এ-কারের চালক হিসেবে কাজ করতেন। মূলত তার গাড়ি ব্যবহার করেই তারা সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। সায়েম মির্জা সিলেটের মদন মোহন কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনিও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd