জকিগঞ্জবাসীর গলার কাটা কানাইঘাট সড়কের বাজারের যানজট

প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২০

জকিগঞ্জবাসীর গলার কাটা কানাইঘাট সড়কের বাজারের যানজট

Manual6 Ad Code

জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটের জকিগঞ্জের জনসাধারণের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা কদতলী থেকে কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজার হয়ে জকিগঞ্জ পৌছতে হয়। কিন্তু কানাইঘাটের সড়কের বাজারের একটি অসাধু গাড়ী চালক চক্রের কারণের অতিষ্ট জকিগঞ্জবাসী।

Manual4 Ad Code

সেই যাতায়াতের কষ্ট বুকে নিয়ে জুনেদ আহমদ চৌধুরীর ফেসবুকে একটি পোষ্ট করছেন। সেই ফেসবুক পোষ্টটি হুবহু তোলে ধরা হলো, ‘সিলেট থেকে জকিগঞ্জ যেতে `সড়কের বাজারে’ ইজ্জতের ভয়ে কেউ কথা বলেন না! সিলেট থেকে জকিগঞ্জ উপজেলার সদরের দূরত্ব ৯১কিলোমিটার। কদমতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে জকিগঞ্জ যেতে শতাধিক বাজার সড়কের পাশে রয়েছে। সড়কের আশপাশে গড়ে ওঠা প্রায় সবগুলো বাজার মোটামুটি সুন্দর-পরিচ্ছন্ন থাকলেও একটি বাজার এই জনপদের মানুষকে পীড়া দিচ্ছে বছরের পর বছর থেকে।

Manual2 Ad Code

সিলেট থেকে জকিগঞ্জ যেতে দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার অতিক্রম করে যেতে আমাদের তেমন সমস্যায় ভুগতে হয় না। কিন্তু যখন সড়কের বাজারে প্রবেশ করি গাড়ি নিয়ে তখন আমরা অসহায় হয়ে পড়ি অনেকটা। বাজারটি কানাইঘাট উপজেলার অন্তর্গত। সড়কের দুই পাশে প্রায় ৪/৫ শ’ হাত জায়গা জুড়ে টমটম, লেগুনা, রিক্সা, ঠেলা, সিএনজি অটো রিক্সা কতগুলো যে যানবাহন রাস্তার মাঝখানে রাখা থাকে তার হিসেব করতে লাগবে যে কারো অন্ত্যত আধা ঘন্টা সময়। সড়কের দুই পাশে এলোমেলো পার্কিং করে কৃত্তিম যানজট তৈরি করে রাখেন যানবাহনের চালকরা। এই জায়গা পার হতে আমাদের মনে হয় যেনো মেঘনার ফেরী পার হচ্ছি। কারণ সময় লাগে দীর্ঘক্ষণ। যদি কেউ গাড়ি থেকে নেমে তাদের গাড়িটি সরানোর কথা বলেন আপনি ইজ্জত নিয়ে সড়কের বাজার অতিক্রম করতে পারবেন না। তাই ইজ্জতের কারণে কেউ এখানে নেমে কথাও বলনে না।

এই বাজারের আশপাশে কাদের বাড়িঘর জানেন? কানাইঘাট উপজেলার সাবেক ৩ বারের চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি এখানেই। বাজার থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে দরপনগর গ্রামে ওনার বাড়ি। দীর্ঘ সময়েও তিনি কি সময় পাননি এসব চালকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র স্থানান্তর করতে। আশপাশে অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে গাড়িগুলো সরিয়ে রাখা যেত। আর মেইন রোডে গাড়ি পার্কিং করে যাত্রি উঠানামা করা কতটুকু যৌক্তিক?

Manual1 Ad Code

এই বাজারের আশপাশে আরও যাদের বাড়ি রয়েছে তারমধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম ফজলুর রহমান, ৩ নং দিঘীরপার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন কাজল ও এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাজিম উদ্দিনের। এছাড়া নাম জানা অজানা আরো কত জন রয়েছেন। তারা সবাই মিলে কি জনস্বার্থে বিষয়টি সমাধান করতে পারেন না? কিংবা কনাইঘাট উপজেলা প্রশাসনেরও বিষয়টি নজরে পড়ে না? বিশেষ করে এই বাজার অতিক্রম করতে এ্যাম্বুলেন্স, কিংবা রোগী নিয়ে যেতে মানুষকে পড়তে হয় বেশ বিড়ম্বনায়’।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..