কোম্পানীগঞ্জের জামাত নেতা আবুলের বিরুদ্ধে স্কুলে ভূমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২০

কোম্পানীগঞ্জের জামাত নেতা আবুলের বিরুদ্ধে স্কুলে ভূমি দখলের অভিযোগ

Manual3 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের কোম্পনীগঞ্জ উপজেলার বহুরুপী জামাত নেতা আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্কুলের ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। আবুল হোসেন নিজেকে সমাজের কাছে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে থাকেন।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের উপজেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি ও ২০০২ সালের উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক থেকে বহিস্কৃত এবং ২০০৪ সালে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক টুকের বাজারের কুক্ষাত ভূমি খেকো আবুল সাংবাদিকতা পরিচয় দিয়ে চাদাবাজি, মামলার ঠিকাদারি সহ বিভিন্ন সময়ে অনেক অপকর্মের প্রমান আমরা পেয়েছি কিন্তু তার জমি দখলের ইতিহাস খুব কম মানুষেই জানে।

আবুল কর্তৃক ওয়াকফকৃত কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজার গার্লস স্কুলের জমি দখল করে উপজেলা জামায়াত কর্তৃক পরিচালিত মাদ্রাসা প্রতিষ্টার কিছু তথ্য তুলে ধরছি।

২০০৫ সালের এপ্রিলের ২৬ তারিখ উপজেলা ভূমি অফিসে সাব কবলাকৃত ৭৫ শতাংশ ভূমি বেগম দূররে সামাদ রহমান গার্লস স্কুলের নামে রেজিষ্ট্রি প্রাপ্ত হয়।

Manual7 Ad Code

২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ তৎতকালীন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান উক্ত স্কুলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

২০০৬ শিক্ষাবর্ষে ৩৭ জন ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রম আরম্ভ করে বেগম দূররে সামাদ রহমান গার্লস স্কুল কর্তৃপক্ষ।২০০৬-২০১১ সাল পর্যন্ত ভালই চলছিল শিক্ষা কার্যক্রম। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জামায়াতের যুগ্ম আমীর আবেদ শিকদারের নজরে আসে উক্ত প্রতিষ্টানটির উপর।

Manual5 Ad Code

জামায়াত নেতা আবেদ শিকদার উক্ত স্কুলের ভূমি দখল দিতে মোটা অংকের প্রনাদনার লোভ দেখায় আবুল হোসেনকে।আবুল হোসেনের অর্থলোভে পড়ে স্কুলের শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধের পায়তারা করার খবর পেয়ে তৎকালীন উপজেলা বিএনপি তাকে বহিস্কার করে। কিন্তু আবুলের পুলিশ প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক থাকায় স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় যুব সমাজের প্রতিবাদ করা সত্তেও স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০১১ সালের ডিসেম্বরের ২২ তারিখ স্কুলের পরিক্ষার রেজাল্ট বাতিল ঘোষণা করে পুলিশের সহযোগীতায় স্কুল দখল করে নেয় এবং ২০১২ সালে জামায়াত নেতা আবেদ শিকদারকে প্রধান শিক্ষক করে জামায়াতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুর্তুজ আলী দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করে। ২০১২ থেকে অদ্যবধি এই মাদ্রাসা চালু আছে। অত্র এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করলে মামলা হামলার শিকার হতে হয় এই আবুল কর্তৃক।।

এ ব্যাপারে স্কুলের জমি উদ্ধার করে পূনরায় পূর্বের ন্যায় শিক্ষা কার্যক্রম চালুর জন্যে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিলেও কোনো এক অদৃশ্য ইসারায় উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে কি করে একজন জামায়াত বিএনপির এজেন্ট কতৃক পুরাতন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল করে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান চালানোটা খুবই উদ্রেকের বিষয়! শুধু তাই নয় এই মাদ্রাসায় প্রতি মাসে উপজেলা জামায়াতের মিটিং হচ্ছে তা এলাকায় বেশ চাউর হয়েছে তারপরও বন্ধ হচ্ছেনা জামায়াতের দৌড়াত্ম।

তাই উপজেলার নারী শিক্ষার উন্নয়নে বেগম দূররে সামাদ রহমান গার্লস স্কুলকে এই দালাল আবুলের কাছ থেকে উদ্ধার করা হোক।শিবির তৈরীর কারখানা এই জামায়াতি প্রতিষ্ঠান মুর্তজ আলী দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ করা হোক।

Manual2 Ad Code

এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহ সিলেট ৪ আসনের মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী জননেতা ইমরান আহমদ হস্থক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।

আমরা চাই আগামী শিক্ষা বর্ষের আগেই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জামায়াত মুক্ত করা হোক।নারী শিক্ষা এগিয়ে যাক এই কামনা করি।

এ বিষয়ে জানাতে চাইলে আবুল হোসেনের মুঠোফনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..