মেয়েকে হত্যার হুমকি দিলেন বাবা

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, মে ১৮, ২০২০

মেয়েকে হত্যার হুমকি দিলেন বাবা

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিনের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের শেখ আজিজুর রহমান সুমনের মেয়ে শিমলা আক্তার (১৫)। ইতোমধ্যে জন্মের ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও জন্মসনদে বাবার নাম লিখা ছাড়া আর কোনো অধিকার পায়নি শিমলা।

‘সবাই বাবার আদর পায়, আমি তো বাবা বলে ডাকতে পারি না’ মেয়ের এমন আকুতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সংবাদ প্রকাশের পর সমাজের সচেতন মহল থেকেও শিমলাকে পিতৃপরিচয় দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয়দের চাপে শিমলার বাবা সুমন তার মেয়েকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

Manual3 Ad Code

সোমবার সকালে শিমলার নানার বাড়িতে গিয়ে শিমলা, তার মা, মামা ও নানা-নানিকে প্রাণনাশের হুমকি দেন সুমন ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে দুপুরে বাবা সুমনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় জিডি করেছে শিমলা। তবে প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শিমলার বাবা শেখ আজিজুর রহমান সুমন।

Manual7 Ad Code

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। হত্যার হুমকি দেয়ায় বাবার বিরুদ্ধে জিডি করেছে মেয়ে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Manual6 Ad Code

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে শেখ আজিজুর রহমান সুমনের সঙ্গে একই গ্রামের ছবির মোল্লার মেয়ে সাথীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্রে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। কয়েকদিন পর সাথী অন্তঃসত্ত্বা হন।

বিষয়টি টের পেয়ে কেটে পড়ার চেষ্টা করেন সুমন। কিন্তু এলাকাবাসীর তোপের মুখে তা সম্ভব হয়নি। তৎকালীন কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. আতাউর রহমান ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের সালিশের মাধ্যমে তাদের বিয়ে দেয়া হয়। সাথীকে বাড়ি নিয়ে যান সুমন ও তার পরিবার।

Manual1 Ad Code

বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় একটি হাসপাতালে জন্ম হয় শিমলার। ওই সময় সুমন হাসপাতালে তার স্ত্রী ও নবজাতককে রেখে পালিয়ে যান। কিন্তু সাথীর দরিদ্র পরিবারের পক্ষে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করা সম্ভব না হওয়া থানার ওসি তা পরিশোধ করেন। নগদ কিছু অর্থ ও শিশুখাদ্য দিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠান ওসি। এরপর থেকে স্ত্রী-কন্যার খোঁজখবর নেননি সুমন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..