ঘণ্টায় ২০০ কিমি বেগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

প্রকাশিত: ৩:৩১ পূর্বাহ্ণ, মে ১৭, ২০২০

ঘণ্টায় ২০০ কিমি বেগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে এই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শনিবার (১৬ মে) রাতেই এটি প্রবল শক্তি সঞ্চয় করলে সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় আমপান।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ৮০ শতাংশ। বর্তমানে নিম্নচাপটির যে গতিমুখ রয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পথ নির্দেশ করছে। তবে গতিপথ যে কোনো সময় পরিবর্তন করতে পারে। আর যে গতিতে এগোচ্ছে সেই গতি ধরে রাখলে ১৯ কিংবা ২০ মে’র দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে।

Manual5 Ad Code

এদিকে, ‍ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গভীর নিম্নচাপটি শনিবার মধ্যরাতেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আর আমপানে রূপ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি ব্যাপক শক্তি নিয়ে এগোতে থাকবে। এক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠে যাবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার (কিমি) পর্যন্ত।
ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ১৭ মে এটি তীব্র রূপ ধারণ করলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ওঠবে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। ১৮ মে খুব তীব্র রূপ নিয়ে বাতাসের গতিবেগ ওঠে যাবে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। আর ১৯ মে অতি তীব্র রূপ নিয়ে আমপানের কেন্দ্রে সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ ওঠে যাবে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এরপর গতি কমে ২০ মে ১৯০ কিমি, এরপর ১৭০ কিমি এবং ২১ মে ১৩৫ কিলোমিটারে নেমে আসবে।

Manual6 Ad Code

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞানী সুনিতা দেবী এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে উড়িশ্যা প্যারাদ্বিপ থেকে এক হাজার ৪০ কিমি দক্ষিণে, পশ্চিবঙ্গের দিঘা থেকে এক হাজার ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে এক হাজার ৩০০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে (শনিবার রাতের মধ্যে) গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ রোববারই (১৭ মে) এটা তীব্র রূপ ধারণ করবে। প্রথমে এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক অগ্রসর হলেও কিছুটা দিক পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের (বাংলাদেশ) উপকূল দিয়ে এটি সমতলে ওঠে আসবে ১৮ থেকে ২০ মে’র মধ্যে। এক্ষেত্রে কলকাতা হয়ে খুলনা অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করবে বাংলাদেশে। প্রভাব থাকবে রাজশাহী অঞ্চলেও।
বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগের ছকঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উড়িশ্যাতে ১৮ ও ১৯ মে ভারী থেকে ‍অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। আর পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের অঞ্চলে ১৯ ও ২০ মে ভারী থেকে অতি ভারী এবং তীব্র ভারী বর্ষণ হতে পারে।

Manual8 Ad Code

এদিকে, প্রবল উত্তাল থাকবে বলে এই সময় উড়িশ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল থেকে সব মাছ ধরা নৌকাকে সাগরে যেতে ‍বারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের উড়িশ্যার সব বন্দরে এক দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরও মোংলা, পায়রা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরগুলোকেও এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..