সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীমের বিরুদ্ধে করোনাকালে সরকারি ত্রাণ বিতরণ ও রেশনকার্ডে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার (১১ মে) ৬নং ওয়ার্ড সরকারি ত্রাণ কমিটির ৩ সদস্য সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবরে এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের অনুলিপি সিসিক মেয়র ও ডিজিএফআই পরিচালক বরাবরেও প্রেরণ করেন তারা।
অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, করোনাকালীন সংকট মোকাবিলায় সরকার গরীব দরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন রক্ষার জন্য নানাভাবে দফায় দফায় ত্রান সামগ্রী বিতরন ও রেশন কার্ড পদ্ধতিতে চাল বিতরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। এই ত্রান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সিটি মেয়র ও সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এলাকার গরীব ও অসহায় লোকদের চিহ্নিত করে তাদের কাছে ত্রান সামগ্রী পৌছানোর জন্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে।
কিন্ত তারা নগরীর ৬নং ওয়ার্ডে মানুষের এই সংকটকালে দলমত নির্বিশেষে ত্রান পাওয়ার দাবীদার সকলের কাছে ত্রাণ পৌছনোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ- ত্রান কমিটির আহ্বায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম তার পছন্দের লোকদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছেন। নিজের ইচ্ছেমতো ত্রাণ বিতরণ করছেন। এছাড়াও গরীব অসহায়দের না দিয়ে তিনি রেশন কার্ড স্বাবলম্বী ও রেশন কার্ড পাওয়ায় অযোগ্য ব্যক্তিদের প্রদান করেছেন।
অভিযোগে তারা বলেন, ৬নং ওয়ার্ডে ১৬’শ ব্যক্তির মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে শুধুমাত্র কাউন্সিলর শামীমের পছন্দের লোকদের নাম রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মাঝে কোন ত্রাণ দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ অভিযোগ দায়ের করেন ৬নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ও ত্রাণ কমিটির সদস্য হায়দর মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণ কমিটির সদস্য জাহিদুল হোসেন মাসুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ত্রাণ কমিটির সদস্য এডভোকেট কামাল হোসেন।
তবে- অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম। তিনি সিলেট প্রতিদিনকে বলেন, আমরা বিগত ২ মাস থেকে পুরো ওয়ার্ডে অসহায়দের দুয়ারে দুয়ারে ত্রাণ পৌছে দিচ্ছি। আমার ওয়ার্ডে কোন অসহায় বাকী থাকেনি। যার ঘরে খাবার নেই তার ঘরে খাবার পৌছে দিয়েছি। অসহায়, কর্মহীন, অতিদরিদ্র দেখে রেশন কার্ডে নাম দিয়েছি।
তবুও কিছু লোক তাদের নিজ স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কাউন্সিলর শামীম বলেন, অভিযোগপত্রে যে ৩ জন স্বাক্ষর করেছেন তারা দুজনই ত্রাণ কমিটিতে নেই। বাকী একজন ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি হায়দার মোহাম্মদ ফারুক ত্রাণ কমিটিতে আছেন। তার উপস্থিতিতেই ত্রাণ পৌছে দিচ্ছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd