সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ, মে ৯, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটা। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানায় খবর আসে একদল ছিনতাইকারী প্রাইভেটকার নিয়ে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহনে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। খবর পেয়ে রেঙ্গা-হাজিগঞ্জের নিকটস্থ ব্রিজের কাছে হাজির হয় একদল পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা প্রাইভেটকার (চট্ট মেট্রো গ-১১-২৪৫৪) নিয়ে বেপরোয়া গতিতে সিলেট নগরীর দিকে আসতে থাকে। মোগলাবাজার থানার এসআই কানু তাদের ধাওয়া করেন এবং অন্যান্য মোবাইল দলের সহযোগিতা চেয়ে ওয়ারল্যাস বার্তা পাঠান।
মোগলাবাজার থানার প্রত্যেকটি মোবাইল দল সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের একাধিক স্থানে ছিনতাইকারীদলকে আটকের চেষ্টা করে। কিন্তু বেপরোয়া ছিনতাইকারী প্রাইভেটকার দ্রুত গতিতে চালিয়ে বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে পালাতে থাকে।
কিন্তু হাল ছাড়েনি মোগলাবাজার থানা পুলিশ। দৃঢ় মনোবলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের ব্যবহৃত যানবাহনসহ ছিনতাইকারীদলের পিছু ধাওয়া করতে থাকে। ছিনতাইকারী দল মোগলাবাজার থানার হেতিমগঞ্জ হয়ে শিববাড়ি রেলক্রসিং অতিক্রম করে চান্দাই দিয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় প্রবেশ করে। অতঃপর দক্ষিণ সুরমা থানার বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে গাড়ি চালিয়ে কাজিরবাজার ব্রীজ অতিক্রম করে কোতোয়ালী থানায় প্রবেশ করে। তারা বিভিন্ন অলিগলি ফিল্মি স্টাইলে মহড়া দিয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।
সামনে দ্রুত গতির প্রাইভেট কার আর পিছনে ধাওয়ারত পুলিশ বাহিনী। এ্ই দৃশ্য সিলেট নগরীর সেহরী খেতে জেগে উঠা লোকজন দেখে তাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এক সময়ে কৌতুহলি হয়ে তারাও মোটরসাইকেল ও গাড়িযোগে ছিনতাইকারীদের অনুসরণ করতে থাকে। ছিনতাইকারীদের ধরতে পুলিশ-জনতার যৌথ প্রচেষ্টা চলতে থাকে।
এক পর্যায়ে সিলেট নগরীর বাগবাড়ী সোনার বাংলা আবাসিক এলাকায় রাত আড়াইটার দিকে ছিনতাইকারীরা গাড়ি থেকে লাফিয়ে বের হয়ে পালাতে থাকে। এসময় এসআই কানু সঙ্গীয় ফোর্সসহ এবং কোতোয়ালী থানা পুলিশ ও জনতার সহায়তায় তিনজন ছিনতাইকারীকে আটক করতে সক্ষম হন।
আটক হওয়া তিন ছিনতাইকারী হলো হুমায়ুন কবির (২৫), রবিউল হোসেন জাকির (৩৫) ও আরিফুল ইসলাম (২৮)।
এসময় প্রাইভেটকার তল্লাশি করে ছিনতাইকারী দলের ব্যবহৃত একটি লোহার রড, একটি রামদা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে এবং আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd