লকডাউনের মধ্যেই কিশোরীকে জঙ্গলে নিয়ে সাতজন মিলে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ণ, মে ৯, ২০২০

লকডাউনের মধ্যেই কিশোরীকে জঙ্গলে নিয়ে সাতজন মিলে গণধর্ষণ

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। করোনা মহামারীর হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে এই পদক্ষেপ। তারই মাঝে ভারতের মধ্যপ্রদেশে দেখা গেল আরও এক নির্ভয়ার ঘটনা। জানা গিয়েছে, গণধর্ষণের শিকার এক নাবালিকা কিশোরী। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে তিনজন নাবালক বলে জানা যাচ্ছে।

Manual5 Ad Code

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে নির্যাতিতা ওই কিশোরী নিজের ভাইয়ের সঙ্গে কাছের একটি পেট্রোল পাম্পে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার সময় গাড়িতে সমস্যা হওয়াতে গাড়ি থেকে ওই কিশোরীর ভাই নেমে তা ঠিক করার চেষ্টা করছিল। আর সেই সময়ে হঠাৎ করে সাতজন কিশোরীর উপরে আক্রমণ করে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন তার ভাইকে কাছের একটি কুয়োতে ফেলে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তারপরে বাকিরা ওই কিশোরীকে কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। খবর কলকাতা ২৪x7 এর।

লকডাউনের মধ্যে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। গত বছর হায়দরাবাদে দিশা কাণ্ড হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসেছিল দেশের বিদ্বজ্জনেরা। মহিলাদের উপরে হওয়া অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন তারা। কিন্তু তারপরে একে একে এই জাতীয় ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।

Manual4 Ad Code

তবে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে ওই কিশোরীর ভাই কোন মতে ওই কুয়ো থেকে উঠে স্থানীয়দের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। পরে পরিবারের সকলের সঙ্গে বোনকে খুঁজতে গিয়ে এক অভিযুক্তকেও দেখতে পায় তারা। কিন্তু পুলিশে খবর দিতে যাওয়ার সময়ে ওই অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। কিন্তু ওই জায়গাতে তার আধার কার্ড পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

Manual6 Ad Code

পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে ওই অভিযুক্তের নাম লোকেশ সেনিয়া। কিশোরীকে পরে অজ্ঞান অবস্থাতে খুজে পান পরিবারের লোকেরা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যাতে কোনভাবে প্রমাণ লোপাট না হয় সেই কারণে ওই জায়গাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

Manual1 Ad Code

এছাড়া বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর আগে দিল্লির রাজপথে ঘটে যাওয়া নিরভয়া ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। সকলে মিলে একসঙ্গে চেয়েছিল দোষীদের শাস্তি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে অবশেষে দোষীদের ফাসির সাজা ঘোষণা করেছিল আদালত। কিন্তু তারপরেও এই ঘটনা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..