পর্নোগ্রাফির দায়ে জৈন্তাপুরে আ’লীগ নেত্রী সুমি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২০

পর্নোগ্রাফির দায়ে জৈন্তাপুরে আ’লীগ নেত্রী সুমি গ্রেপ্তার

Manual2 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে পর্নোগ্রাফি মামলার এজহারনামীয় এক নারী আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।শুক্রবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় জৈন্তাপুর থানার কমলাবাড়ি মোকামটিলা থেকে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Manual6 Ad Code

গ্রেপ্তারকৃত নারী সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কমলাবাড়ি মোকামটিলার বাসিন্ধা আলোচিত সুমি বেগম (৩০) তার স্বামী কয়েছ আহমদ।

সুমি ও তার স্বামী জৈন্তাপুর থানার পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ধারা- ৩২৮ এবং ৯(১)/৩০ মামলার এজহারনামীয় আসামি। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদেরকে সিলেটের জৈন্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে যানা যায়, আ’লীগ নেত্রী সুমি ও তার স্বামী নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাহার নিজ বাড়িতে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের দিয়ে জোরপূর্বক অসমাজিকতায় বাধ্য করতেন। এমনকি লোকজনকে বাসায় তাদের অশ্লীল ছবি ধারণ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। সর্বশেষ আলোচিত পাপিয়ার মতো সুমি বেগমের ও শেষ রক্ষা হয়নি। আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

Manual7 Ad Code

সুমিকে আটকের পর থেকে সামাজি যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৯ এর কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকে।

Manual7 Ad Code

মামলা সূত্রে জানা যায়, জৈন্তাপুরে অচেতন করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাএী কে ধর্ষন, বিডিও চিএ ধারন। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ছদ্দ নাম কলি(ভিকটিম)সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এল এল বি ১ম সেমিষ্টারে লেখা পড়া করে। সিলেট শহরে মহিলা হোষ্টেলে থাকেন। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ববে মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বর্তমানে ভিকটিম বাড়ীতে তাহার পিতা মাতার সাথে বাস করছেন। আসামী কয়েস ও সহযোগী ভিকটিমের একই গ্রামের বাসিন্দা এবং ২নং আসামী সুমি বেগম সম্পর্কে ভিকটিমের খালা হয়। প্রায় সময় ভিকটিম সিলেট থেকে বাড়িতে আসা যাওয়া কালে আসামী সুমি বেগম ভিকটিমকে তাহার বাড়ীতে ডাকিয়া নিয়া বিভিন্ন গল্প গুজব করতো। আসামী সুমি বেগম খালা সম্পর্ক হওয়ায় ভিকটিম সরল বিশ্বাসে তাহার বাড়ীতে যাওয়া আসা করেন। কিন্তুু দুশ্চরিত্র আসামী কয়েস ভিকটিমের এতবড় সর্বনাশ করিবে তাহা কখনও জানা ছিল না। ঘটনার দিন তারিখ ০২/০৫/২০২০ খ্রিঃ আসামী সুমি বেগম ভিকটিমকে তাহার বাড়িতে ইফতারির দাওয়াত দেয় কিন্তু ভিকটিম যাইতে রাজী ছিলেন না। তারপরও আসামী সুমি বেগম অনেক অনুরোধে ভিকটিমের পিতা মাতাকে বলিলে ইফতারের কিছু আগে আসামীদ্বয়ের বাড়িতে যায় কলি। ইফতার করিয়া কিছু সময় বিশ্রাম করার পরে রাত অনুঃ ০৮.০০ ঘটিকার সময় আসামী সুমি বেগম কৌশলে চায়ের সাথে নেশা জাতীয় কোন কিছু মিশাইয়া ভিকটিমকে চা খাইতে দেয়। যাহা ভিকটিমের জানা ছিল না। ভিকটিম সরল বিশ্বাসে চা খাওয়ার পরে অচেতন হইয়া পড়িলে আসামী সুমি বেগমের সহায়তায় আসামী কয়েছ আহমদ ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কয়েকবার ধর্ষন করে এবং উলঙ্গ অবস্থায় সুমি ছদ্দ নাম কলির ধর্ষনের ভিডিও চিএ মোবাইলে ধারন করে, এইভাবে আসামী কয়েছ আহমদ রাত অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময়ের মধ্যে অচেতন অবস্থায় ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। ভিকটিমের চেতন ফিরিলে আসামী কয়েছ আহমদকে পাশে দেখিয়া ভিকটিম চিৎকার দিলে আসামী কয়েছ আহমদ ভিকটিমের মুখ চাপিয়া ধরিয়া রাখে। ভিকটিম আসামীর সাথে অনেক ধস্তাধস্তি করিয়া কোন ভাবে তাহার পিতার মাতাকে সংবাদ দিলে তাহার পিতা মাতা সহ স্বজন এই সংবাদ পাইয়া দ্রত আসামীদ্বয়ের বাড়িতে আসেন। ভিকটিম সকলের নিকট ঘটনা বিস্তারিত বলেন, এই সময় ভিকটিমের মা কৌশলে আসামীর মোবাইল সংগ্রহ করিয়া নেয়। ভিকটিম তাহার আত্বীয় স্বজনের পরামর্শে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি হইয়া চিকিৎসা নেয়।এবং এই অভিযোগের ভিক্তিতে ভিক্টিম এর স্বজন জৈন্তাপুর মডেল থানার একটি মামলা দায়ের করে মামলা নং-০১, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)/৩০, তৎসহ ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩২৮ ধারা এবং ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১) এর একটি মামলা দায়ের করা হয়।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..