সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের ভয়ে সব মানুষ যখন গৃহবন্দি তখন উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবিরাম ছুটে চলেছেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ। এ উপজেলার আনাচে কানাচে এমন কোন স্থান নেই যেখানে তার পদচারণ হয়নি।
করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলাবাসীকে সহযোগিতা করতে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছেন তিনি। অত্র উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। মূলত উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতার কারণেই জেলার অন্য যেকোনো উপজেলার চেয়ে সার্বিক পরিস্থিতি এখনে অনেক ভালো।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী অব্যহত রয়েছে। সরকরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে ছুটেছেন দুর্গম পাহাড়ের এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামের সাধারণ মানুষের দোড়গোরায়। আাবার কখনও এক বাজার থেকে অন্য বাজারে ছুটে চলেছেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
কখনও কখনও পরিচালনা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবিরাম ছুটে চলেছেন সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে, হাটবাজারে আড্ডা ও জনসমাগম প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়াদের সহায়তা দিতে নানা পরিকল্পানা গ্রহণ করেছেন এ কর্মকর্তা। বর্তমানে মানবিক সহায়তা কার্ড প্রস্তুত করার কাজে ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ প্রশাংসা কুঁড়িয়েছেন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তামান্না মাহমুদ।
১নং মানিকছড়ি ইউনিয়নের ফাতেমা বেগম, তিনটহরী ইউনিয়নের করিম আলীসহ অনেকেই জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে গৃহবন্দি হয়ে খাদ্য সংকটে পড়েন। বিষয়টি ইউএনও তামান্না মাহমুদ’কে জানালে তিনি তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেন। উপজেলার এমন অনেক পরিবার আছে যাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।
এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেকের কাছে গিয়ে ত্রাণ না পাওয়া মানুষগুলো ইউএনও কাছে ধারস্থ হলে কাউকেই তিনি খালি হতে ফেরত দেননি। যার ফলে উপজেলাবাসীর একমাত্র ভরসাস্থল ইউএনও তামান্না মাহমুদ।
মানিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের ইউএনও তামান্না মাহমুদ উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সকল কার্যক্রম খুব ভালো ভাবেই পরিচালনা করছেন এবং তার কাজে উপজেলার মানুষ খুবই সন্তুষ্ট।
ইউএনও তামান্না মাহমুদ এ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলায় বহিরাগত আগম ঠেঁকাতে নয়াবাজার চেকপোষ্ট এলাকায় কঠোর নজরদারী অব্যহত রয়েছে। এ ছাড়াও পাশ্র্ববর্তি জেলা থেকে আসা মানুষকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হচ্ছে এবং তাদের হোম কোয়ারান্টাইন স্ব-স্ব ইউপি চেয়ারম্যান-ইউপি সদস্যরা নিশ্চিত করছেন।
যাদের হোম কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা নেই তাদের জন্য উপজেলা সদর রাজবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের ছাত্রাবাসে প্রাতিষ্ঠাকি কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও মানবিক দায়িত্ব থেকেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। সরকারি যে কোন সহায়তা অসহায়-হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা মানতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালনত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd