অনৈতিক সম্পর্কে বাধা হওয়ায় হত্যা করল স্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:১৪ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২০

অনৈতিক সম্পর্কে বাধা হওয়ায় হত্যা করল স্ত্রী

Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : স্বামী মকল মালিথা (৫০) তাঁতের কাজ করেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। এ সুযোগে স্ত্রী নাসিমা বেগম (৪০)পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ননদের স্বামী (নন্দাই) স্বপনের (৪৫) সঙ্গে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তারা অবাধে মেলামেশা করছিলেন।

কিন্তু সম্প্রতি করোনা সংকটের কারণে কাজ বন্ধ থাকায় স্বামী মকল বাড়িতে চলে আসেন। এতে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়ান তিনি। এতেই পথের কাঁটা সরাতে স্ত্রী ও প্রেমিক মিলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন এবং শেষ পর্যন্ত মকলকে তারা শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

Manual8 Ad Code

মর্মান্তিক এবং সিনেমাটিক এ ঘটনাটি ঘটে পাবনা সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের শালাইপুর গ্রামে। শুক্রবার ভোরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পুলিশ স্ত্রী নাসিমা খাতুন ও তার প্রেমিক স্বপনকে আটক করেছে।

নিহত মকল মালিথা শালাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে এবং তার স্ত্রী নাসিমার প্রেমিক স্বপন একই এলাকার রমজান খন্দকারের ছেলে ও ডাক বিভাগের একজন কর্মচারী।

পরিবারের বরাত দিয়ে পাবনা থানা পুলিশের ওসি নাসিম আহম্মদ জানান, তাঁত শ্রমিক মকল মালিথা শাহজাদপুরে তাঁতের কাজ করতেন। এরই মধ্যে তার স্ত্রী নাসিমা নন্দাই (ননদের স্বামী) স্বপনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। মকলের অনুপস্থিতিতে প্রেমিক স্বপনের সাথে নাসিমা অবাধে মেলামেশা করতে থাকেন। সম্প্রতি করোনা সংকট শুরু হলে মকল মালিথা বাড়ি আসেন। এতে স্ত্রী নাসিমা ও তার পরকীয়া প্রেমিকের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়ায় মকল।

একপর্যায়ে স্ত্রী তার প্রেমিক স্বপনের সঙ্গে মকলকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ফজরের নামাজের সময় স্ত্রী নাসিমা তার প্রেমিকের সহায়তায় স্বামী মকলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

Manual6 Ad Code

হত্যার পর স্ত্রী কান্নাকাটির অভিনয় করে যে, তার স্বামী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পাবনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ লাশের গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে স্ত্রী নাসিমাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে প্রেমিক স্বপনকে আটক করে।

Manual4 Ad Code

আটকের পর নাসিমা ও প্রেমিক স্বপন পুলিশের কাছে মকল হত্যার কথা স্বীকার করে।

Manual8 Ad Code

পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, স্ত্রী নাসিমা ও প্রেমিকের সাথে আরও কেউ ছিল না কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে পাবনা থানায় একটি হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..