সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে বাংলাদেশের চিকিৎসক-নার্সরা একটাই দাবি করে আসছেন, তাদের সুরক্ষা। এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেয়া হলে তারাও সেবা দিতে কার্পণ্য করবেন না। কিন্তু বিভিন্ন সময় তাদের দাবি উপেক্ষিত হচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে। এবার গাইবান্ধার যে চিত্র সামনে এসেছে, তা অমানবিক এবং অপমানজনক বলে জোর গলায় বলছেন নার্সরা।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা সেবা দেয়া নার্সদের জন্য ডিউটি শেষে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে মাঠের মাঝে তাবু টানিয়ে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, মাঠে টানানো এক তাবুর মাঝে দুই জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিন দিয়ে অস্থায়ী পায়খানা নির্মাণ করা হয়েছে, যা আজকাল অজোপাড়াগাঁয়ের কোনো বাড়িতেও থাকেনা বলে নার্সদের ভাষ্য। আর খোলা জায়গায় পানির ট্যাংকিকে সাদা কাপড় বা পর্দা দিয়ে ঘিরে রেখে বানানো হয়েছে গোসলখানা।
নার্সদের জন্য অদ্ভুত এবং সম্ভবত বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের মধ্যে বিরল এমন থাকার ব্যবস্থা করেছেন গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডাঃ এ.বি.এম. আবু হানিফ।
এ নিয়ে অনেক নার্স ফেসবুকে লিখেছেন এবং সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ভিডিও কনফােরেন্সে নার্সদের থাকা-খাওয়ার সু-ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু গাইবান্ধায় যা করা হয়েছে, তা শুধু নার্সদেরই নয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রতিও অসম্মান করা হয়েছে।
নার্সরা এ প্রশ্নও তুলেছেন যে, চিকিৎসক ও নার্স উভয়েই সেবা দিচ্ছেন। কিন্তু ডাক্তার জন্য তো এমন ব্যবস্থা করা হয়নি। তাহলে নার্সদের কেন এই অসম্মান-অবহেলা।
সোসাইটি অব নার্সেস সেফটি এ্যান্ড রইটস সংগঠনের মহাসচিব সাব্বির মাহমুদ তিহান বলেন, গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নার্সদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন নার্সরা। তিনি অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর দৃষ্টি আকর্ষল করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা পাবলিক হেলথ নার্স মাসুমা বেগম বলেছেন, ডিউটির পর নার্সদের থাকার জন্য সাময়িকভাবে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে কোয়ারেন্টাইনের জন্য আবাসিক হোটেলে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আগে থেকে জানেন না বলে জানিয়েছেন।
গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এ.বি.এম. আবু হানিফ বলেন, এটা সাময়িক কয়েক ঘন্টার জন্য। তাদের থাকা এবং গোসলের জন্য ভবনের মধ্যে আলাদা জায়গা আছে। তারা সেখানেই থাকবেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd