ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানার বাসা থেকে ৬৭ বস্তা চাল উদ্ধার

প্রকাশিত: ১:০১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০

ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানার বাসা থেকে ৬৭ বস্তা চাল উদ্ধার

Manual3 Ad Code

ক্রাইম ডেস্ক : আন্তরিকতায় চাঁদপুর অনন্য, এ কথাটি আজ মিথ্যা হয়ে গেলো। যেখানে করোনা ভাইরাস মহামারি ধারন করছে সেখানে চাল চুরি, এটা জগন্য কাজ বলে সচেতন মানুষের মাঝে বিরাজ করছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানার শহরের বাসা থেকে ২টন (৩০ কেজি ওজনের ৬৭ বস্তা) ত্রাণের (জিআর) বরাদ্দের চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫ এপ্রিল বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমার তত্ত্বাবধানে পিকআপ ভ্যান দিয়ে চালগুলো উদ্ধার করে সদর উপজেলার গোডাউনে নিয়ে রাখা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে চালগুলো চাঁদপুর সিএসডি গোডাউন থেকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শহরের ট্রাকরোড এলাকার পালপাড়াস্থ তার নিজ বাসায় এনে রাখেন।

সরকারি ত্রাণের চাল মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিজ বাসায় এনে রাখার বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে। এরপর ওই চালগুলো তার বাসা থেকে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা এসে চালগুলো ট্রাকে উঠিয়ে উপজেলায় নেয়ার প্রস্তুতি অবস্থায় পান। খবরে পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক সানজিদ ঘটনাস্থলে আসেন এবং ওই বাসায় ত্রাণের চালের মওজুদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। চাঁদপুর সদর উপজেলার একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, সরকারি ত্রাণ কিংবা কোন বরাদ্দের চালই নিজ বাড়িতে নিয়ে রাখার নিয়ম নেই। আমাদের যত বরাদ্দ আসে আমরা এগুলো গোডাউন থেকে সরাসরি পরিষদের গোডাউনে নিয়ে রাখি। অনেক সময় সরাসরি বিতরণকৃত এলাকায় নিয়ে তালিকাভুক্ত লোকাদের হাতে তুলে দেই।

Manual6 Ad Code

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা ঘটনাস্থলে আসা সাংবাদিকদেরকে বলেন, জিআর বরাদ্দের চাল ইউনিয়নের গরীবদের মাঝে বিতরণের কথা। ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় যেহেতু চেয়ারম্যানরা বিতরণ করেন, আমি চিন্তা করেছি ইউনিয়নে না দিয়ে আমার বাসার আশাপাশে শহরের লোকদের মাঝে দিব। সেই সুবিধার্থে বাসায় এনে রেখেছি। চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেছি তার তত্ত্বাবধানে চালগুলো ওই বাসা থেকে উদ্ধার করে উপজেলার গোডাউনে রাখার জন্য। তিনি গোডাউনে আনার ব্যবস্থা করেছেন। যদি গরীবদের দিতে হয় উপজেলা থেকেই দিতে হবে।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..