ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা গুজব সৃষ্টিকারীর

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২০

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা গুজব সৃষ্টিকারীর

Manual5 Ad Code

কানাইঘাট প্রতিনিধি :: কানাইঘাট ৫নং বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাও. আবুল হোসাইনের বিরুদ্ধে খাদ্য সামগ্রী আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ এনে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী কবির আহমদ নিজের দোষ স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা ও লিখিত মুছলেখা দিয়েছেন।

Manual3 Ad Code

জানা যায়, গত রোববার ইফতারের পূর্বে স্থানীয় দূর্গাপুর গ্রামে কবির আহমদ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চেয়ারম্যান আবুল হোসেন কর্তৃক এক দরিদ্র দিনমজুর ট্রলি চালকের খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট ছিনিয়ে নিয়ে চেয়ারম্যান ত্রাণ চুরি করেছেন বলে এলাকায় গুজব সৃষ্টি করে। তার মিথ্যা অপপ্রচারের কারনে উৎসুক জনতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জড়ো হয়, চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ত্রাণ আত্মসাত করেছেন বলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দেয়া হয়। একপর্যায়ে রাত সোয়া ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান।

Manual8 Ad Code

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিকেল ৩টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান ও থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসাইন ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুবশি^র আলী চাচাই, সাধারণ সম্পাদক জামিল সহ পরিষদের ইউপি সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকের শুরুতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কবির আহমদকে নির্বাহী কর্মকর্তা জবানবন্দী প্রদানের জন্য বললে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ কবির প্রমাণ করতে পারেনি। একপর্যায়ে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টির দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করে কবির এবং সে নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খানের কাছে লিখিত মুছলেখা দিয়ে ভবিষ্যতে চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যাচার করবে না বলে অঙ্গীকার করে। বৈঠকে কবির আহমদকে তিরস্কার করা হয় এবং সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হন চেয়ারম্যান আবুল হোসেন। সভায় নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান ও থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।

Manual6 Ad Code

রবিবার রাতে যে ঘটনাটি ঘটিয়ে এলাকায় যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৈঠকে উপস্থিত বড়চতুল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি মুবশি^র আলী চাচাই চেয়ারম্যান আবুল হোসেন নির্দোষ বলে বক্তব্য রাখেন এবং তিনি বলেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে সেখানে ডাকলে আমি উপস্থিত হই। সেই সাথে তিনি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনকে সকল কাজে সহযোগিতা করার আশ^াস প্রদান করেন। সবায় চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে চাল চুরি সহ নানা ধরনের মিথ্যা অপবাদ দেয় কু-চক্রী মহল। এতে করে আমি সামাজিক ভাবে চরম হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি এবং সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে। কবির আহমদ তার অপরাধ স্বীকর করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় চেয়ারম্যান আবুল হোসাইন তাকে ক্ষমা করে দেন। ইউনিয়নে সকল কাজে তিনি সাবেক চেয়ারম্যান মুবশি^র আলীর সহযোগিতা চেয়ে আসছেন। ভব্যিতেও তার সহযোগিতার মাধ্যমে ইউনিয়নের সবধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

চেয়ারম্যান আবুল হোসেন নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম ও থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম সত্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা সত্য বাস্তব ঘটনা তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করায় ষড়যন্ত্রকারীদের অপপ্রচার বেস্তে যায়। এবং যারা এ নিয়ে ঘুলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল তাদের মুখোশ জনমনে উন্মোচিত হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..