টিসিবির পণ্য কালোবাজারে, অসাধু চক্র ধরা ছোঁয়ার বাইরে!

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০

টিসিবির পণ্য কালোবাজারে, অসাধু চক্র ধরা ছোঁয়ার বাইরে!

Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অসাধু ডিলার ও কালোবাজারীদের ছত্রছাঁয়ায় টিসিবির পণ্য অহরহর বিক্রি হচ্ছে। মামলা দায়ের করা হলেও মুল হোতা ও অসাধু চক্রের সদস্যরা এখনো রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। মামলার আসামীদের গ্রেফতার করছেনা পুলিশ এনিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন!

Manual2 Ad Code

মামলার বিবরণে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (১৮ এপ্রিল) শনিবার বিকেলে টিসিবির পণ্য মজুদ করে রাখার খবর পেয়ে নবীগঞ্জের গোপলার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাওছার আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের পানিউমদা বাজারে আশরাফ ভেরাইটিজ স্টোরে অভিযান চালায়। তখন অবৈধ ভাবে মজুদ করে রাখা টিসিবির সয়াবিন তেলের ২ লিটারের ১৮টি বোতল ও ৫ লিটারের ৩টি বোতল জব্দ করে।

Manual3 Ad Code

অভিযানে ব্যবসায়ী জলাই মিয়াকে আটক করে পুলিশ। এঘটনার পর থেকে কার কাছ থেকে মুদি দোকান ব্যবসায়ী জলাই মিয়া তেল সংগ্রহ করেছে এনিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। মুল হোতা টিসিবির ডিলারের খুঁজে ওইদিন রাতভর আটককৃত জলাই মিয়াকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ প্রশাসন। জিজ্ঞাসাবাদে জলাই মিয়া জানায় দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের টিসিবির ডিলার মো. তাজ উদ্দিনের সূচনা স্টোর থেকে সে তেল সামগ্রী ক্রয় করে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাওছার আলম বাদী হয়ে জলাই মিয়া ও ডিসিবির ডিলার সূচনা স্টোরের সত্ত্বাধিকারী তাজ উদ্দিনকে আসামী করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের হলেও অদৃশ্য কারনে টিসিবির অসাধু ডিলার তাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করছেনা পুলিশ এমন অভিযোগ করেছেন অনেকেই।

Manual1 Ad Code

অপর দিকে গত (১৬ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ বাজারে নোমান হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান চালায় নবীগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন। পরে ব্যবসায়ী নোমান হোসেনের ব্যবসায়ীক গোদাম পাশ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার আলীগঞ্জ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তখন গোদামের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা টিসিবির ৫ লিটার তেলের ১৯৬টি বোতল ও টিসিবির ৫০কেজির ৭৩টি চিনির বস্তা উদ্ধার করা হয়।

Manual6 Ad Code

অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ী নোমান মিয়া পালিয়ে যায় তবে তাঁর সহযোগী ৫জনকে আটক করে নবীগঞ্জের পুলিশ। পরে আটককৃত স্থান ও টিসিবির পণ্য সামগ্রী উদ্ধারের স্থান জগন্নাথপুর উপজেলায় হওয়ায় আটককৃতদের জগন্নাথপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর দিন সকালে আটককৃত ৫জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ওইদিন জগন্নাথপুর থানায় ইনাতগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও অসাধু টিসিবির পণ্য বিক্রেতা নোমান হোসেনসহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে নবীগঞ্জের টিসিবির ডিলার আব্দুল হাদীর গালিব স্টোর থেকে নোমান টিসিবির পণ্য সংগ্রহ করতেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে এখনো ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছেন অসাধু ব্যবসায়ী নোমান হোসন ও টিসিবির ডিলার আব্দুল হাদী। এর ফলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

সচেতন মহলের ভাষ্য, যে বা যারা অবৈধ ভাবে খোলা বাজারের টিসিবির তেল বিক্রি করছে সেইসব ব্যবসায়ীকে যেসব ডিলার তেল সরবারহ করছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী করেছেন।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..