সিলেট ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের স্টোর কিপার। এ ঘটনায় তার সংস্পর্শে থাকা হাসপাতালের লোকদের কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডা. শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র।
তিনি বলেন, যেহেতু আক্রান্ত স্টোরকিপার আমাদের হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন তাই আমরা আক্রান্তের সংস্পর্শে থাকা লোকদের একটি তালিকা করছি। এ তালিকা করে কারা কারা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন তা জানানো হবে। এমনকি আমি নিজেও তার সংস্পর্শে ছিলাম। আমরা ইতিমধ্যে হাসপাতালে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে কাজ করছি।
সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানান, গত দুই-তিন থেকে তার সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা ছিল। বর্তমানে তিনি তার বাসায় সঙ্গনিরোধ অবস্থায় ভালো আছেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে।
বুধবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার আক্রান্ত হওয়া অপরজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। সম্প্রতি গাজীপুর থেকে তিনি সিলেট ফেরেন। করোনার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গাজীপুর থেকে ফেরার কারণে তিনি হাসপাতালে কাজে যোগ দেওয়ার আগে বুধবার নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
তিনি কলেজের ইন্টার্নি হোস্টেলে সঙ্গনিরোধ অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে যে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে সিলেট জেলার দু’জন। এদের একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও অপরজন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের স্টোর কিপার বলে জানা গেছে। বুধবার আক্রান্ত হওয়া বাকিদের ৫ জন হবিগঞ্জ জেলার, ৪ জন সুনামগঞ্জের ও ২ জন মৌলভীবাজারের।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এই হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়। তিনি জানান, বুধবার ওসমানীতে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এ নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট ৩৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৬ জন, হবিগঞ্জের ১৮ জন, মৌলভীবাজারের ৩ জন ও সুনামগঞ্জের ৬ জন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।
প্রথমে নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসায় রেখেই তার চিকিৎসা চলে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৭ এপ্রিল রাতে তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তবে পরদিন ৮ এপ্রিল ঢাকায় পাঠানো হয় এই চিকিৎসককে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল সকাল পৌনে সাতটায় তিনি মারা যান।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd