ঢাকাতেই আক্রান্ত ৯৬ নার্স

প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২০

ঢাকাতেই আক্রান্ত ৯৬ নার্স

Manual3 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : করোনায় আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্য কর্মীদের আক্রান্তের সংখ্যাও। সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি এ্যান্ড রাইটসের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ১০৭ জন নার্সিং কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত। গত ৪ দিনেই আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ জন নার্স। গত ৪ দিনে আক্রান্তের হার প্রতি দেড় ঘন্টায় একজন।

Manual2 Ad Code

সংগঠনের মহাসচিব সাব্বির মাহমুদ তিহান বলেন, ২৪টি সরকারি ও ১১টি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র ঢাকাতেই এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ নার্স; এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১৫ জন এবং মিডফোর্ড হাসপাতালে ১০ জন। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৬৬ জন, গাজীপুর ১২ জন, নারায়ণগঞ্জে ৫ জন, কিশোরগঞ্জে ৪ জন, নরসিংদীতে ৯ জন ও ঢাকার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে আরও ৩৫ জন নার্স করোনায় আক্রান্ত।

তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহে ৭ জন, বরিশালে ৩ জন ও রংপুরে একজন নার্সিং কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত। এছাড়াও দু’জন মিডওয়াইফ ও দু’জন অন্তঃসত্ত্বা নার্স করোনায় আক্রান্ত। আক্রান্তের বেশির ভাগই বাসায় আইসোলেশনে আছেন। কয়েকজন নার্সিং কর্মকর্তা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।

Manual4 Ad Code

সংগঠনের মহাসচিব আরও বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানব সেবায় নিয়োজিত নার্সরা এখন নিজেরাই করোনায় আক্রান্ত।

আক্রান্তের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শুরু থেকেই পর্যাপ্ত পিপিই’র সরবরাহ ও অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী পর্যাপ্ত না থাকায় নার্সরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাছাড়া এদের মধ্যে অনেকেই করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছেন। আবার অনেকেই আক্রান্ত সহকর্মীর থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা রোগীদের সেবা দেওয়া হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের বাসস্থানেও আইসোলেশনের নিয়ম না মানায় দ্রুত সংক্রমণ ঘটছে। অনেক রোগী তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নেওয়ার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

Manual7 Ad Code

সাব্বির মাহমুদ তিহান বলেন, হাসপাতালে রোগীর সবচেয়ে কাছাকাছি থেকে নার্সরা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নার্সিং গাইডলাইন অনুযায়ী সর্বচ্চ সেবা দিয়ে থাকেন। তাই নার্সদের ঝুকি বিবেচনা করাই এখন প্রধান লক্ষ হওয়া উচিত।

সরকারকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে নার্সরা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর থেকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সরকারি হাসপাতালে সকল নার্সদের পিপিই নিশ্চিত করতে না পারলে ভবিষ্যতে নার্সিং সেবা ব্যাহত হতে পারে।

তিনি মনে করেন, পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও পর্যাপ্ত ট্রেইনিং নিশ্চিত করা গেলে আক্রান্তের ঝুকি অনেকটাই কমে যাবে। ইতিমধ্যে সরকারের গৃহীত উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি দ্রুত তা কার্যকর ও সুষম বন্টন নিশ্চিতের দাবি জানান সাব্বির মাহমুদ তিহান।

Manual7 Ad Code

বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের নার্সরা আতংকের মধ্যে রয়েছেন। অনেক হাসপাতালে নার্সদের ন্যূনতম সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হচ্ছে না। তাই এ ব্যাপারে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করার অনুরোধ জানাই।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..