সুনামগঞ্জের অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে ব্যরিষ্টার ইমন

প্রকাশিত: ২:০৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২০

সুনামগঞ্জের অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে ব্যরিষ্টার ইমন

Manual6 Ad Code

আজিজুর রহমান :: বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্ব এখন করোনায় আতঙ্ক।এ দুর্যোগ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে করোনা মোকাবিলায় কাজ করার নির্দেশ প্রধান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুনামগঞ্জের অবহেলিত অসহায় হাওরবাসির মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কাদে কাদ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যরিষ্টার এনামুল কবির ইমন। হাওরের বোরো ফসল দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটায়। এই বোরো ধান নিয়ে কৃষকরা চিন্তিত। কারণ তারা ঘরে বোরো ফসল তুলতে পারবেন তো? তবে সুনামগঞ্জের কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে যে কোনো মূল্যে-এমন প্রত্যায়ের কথা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষকবন্ধু ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন।

Manual7 Ad Code

তিনি জানান, কৃষকদের জন্যে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধান কাটতে যাওয়া শ্রমিকরা যাতে বাধার সম্মুখিন না হন সেদিকে নির্দেশনা রয়েছে। এই ঘোষণার পর কৃষকদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। তিনি প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে কৃষকদের খোজ খবর নিচ্ছেন।

Manual4 Ad Code

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর কৃষকবন্ধু ব্যারিস্টার ইমন সুনামগঞ্জে অবস্থান নেন। করোনা ভাইরাস মোকাবেলা ও বিস্তাররোধে তিনি প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজ শুরু করেন। খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার পর তাদের পাশে দাঁড়ান। এ পর্যন্ত কর্মহীন ৫০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ভ্রাম্যমান হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করতে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জনকে একটি এ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন। কর্মহীন মানুষের পাশে অবস্থান করেও এখন তিনি কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যে কাজ শুরু করেছেন।

Manual7 Ad Code

কৃষকবন্ধু ব্যারিস্টার ইমন বলেন, সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার ২ লাখ ১৯হাজার হেক্টরে বোরো ফসল পেকেছে। অনেক জায়গায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। ৩ লাখ কৃষকের এই ধান কাটতে প্রয়োজন কমপক্ষে দেড় লাখ শ্রমিক। স্থানীয়ভাবে ২৫ ভাগ শ্রমিক যোগান দেয়াও সম্ভব নয় এই ধান কাটতে। তাই প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে শ্রমিক আসেন ধান কাটার জন্যে। এবার করোনাভাইরাস ওই অবস্থার উপর আঘাত করেছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই ব্যারিস্টার ইমন কাজ শুরু করেছেন।

বাইরে থেকে শ্রমিক এলে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে-এমন বক্তব্যের জবাবে কৃষকবন্ধু ইমন বলেন বিষয়টি খুবই জটিল। এই জটিলতা আমাদেরকে অতিক্রম করতে হবে। যেকোনো মূল্যে সুনামগঞ্জের হাওরের বোরো ফসল ঘরে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। শেখ হাসিনার একজন কর্মী হয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে চান।

Manual8 Ad Code

ব্যারিস্টার ইমন বলেন, এলাকায় শ্রমিক আসতে কোনো বাধা নেই-এমন ঘোষণা আগেই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুনামগঞ্জে ধান কাটার জন্যে যেসব শ্রমিক আসবেন, তাদের জন্যে রয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। শ্রমিকদের ব্যবস্থাপনার কাজ করবেন স্থায়ী প্রশাসন। এলকার স্কুল কলেজসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। যা হবে শ্রমিকদের আবাসন। এই শ্রমিক আবাসনে অবস্থান করে শ্রমিকরা শুধু ধান কাটায় অংশ নিতে পারবেন। ধান কাটা শেষে শ্রমিক আবাসনেই তারা অবস্থান করবেন। অন্য কোথায়ও যেতে পারবেন না। স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকটি টিম এখানে কাজ করবে। স্বাস্থ্য বিভাগের কাজ হবে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া। প্রয়োজনে সন্দেহভাজন কেউ থাকলে তার করোনা পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিটি শ্রমিককে পরীক্ষা করে হাওর এলাকায় প্রবেশের অনুমোতি দেবেন। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের বড় টিম প্রয়োজনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কাজ করবে। দেশ, জাতি ও কৃষকের স্বার্থে স্বাস্থ্য বিভাগকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

কৃষক বন্ধু ইমন বলেন, বোরো ফসল ঘরে তোলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তিনি গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এসব বৈঠকে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়েও প্রশাসন ও কৃষক প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সফলতার দিকে। তিনি বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তা তার রহমত দিয়ে অবশ্যই আমাদেরকে সফলতার মুখ দেখাবেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..