কানাইঘাট থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে লোভাছড়ায় পাথর খেকোদের হরিলুট

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০

কানাইঘাট থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে লোভাছড়ায় পাথর খেকোদের হরিলুট

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া পাথর কোয়ারী চলছে পাথর খেকোদের ধ্বংস লীলা ও হরিলুট। দীর্ঘ দিনে থেকে উপজেলার পাথর খেকো তমিজ উদ্দিন বাহিনীর লোকজন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশের নেতৃত্বে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এসকল লোটপাট চালিয়ে যাচ্ছে।

Manual8 Ad Code

জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে ১নং লক্ষীপ্রশাদপূর্ব ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য তমিজ উদ্দিন (মতই) বাহিনীর লোকজন বেপরোয়া লুটপাট চালিয়েছে। এই বাহিনী দিয়ে প্রতিদিন পাথর কোয়ারী এলাকায় মহড়া দিতে থাকেন তমিজ। পাথর কোয়ারীর প্রতি গর্ত থেকে দুই লক্ষ টাকা করে আদায় করেন। এই বাহিরে রয়েছে রয়েলটির নামে চাঁদাবাজি। এই চাঁদাবাজরা পাথর থেকে অর্ধৈকের ও বেশি টাকা আদায় করেন।

Manual2 Ad Code

গত ৭ জানুয়ারি আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাক আহমদ পলাশ ও তমিজ উদ্দিন কোয়ারীর ছয়টি গর্ত বন্ধ করে দেন। পরে বড় অংকের টাকার বিনিময় গতকাল বুধবার উপজেলার ছতিপুর গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে আহাদ হোসেন, আলতাফ উদ্দিনের ছেলে রাসেল আহমদ, সমশের আলমের ছেলে তাহের আহমদ, কান্দলা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে বিল্লল আহমদ ও সাউদ গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে শাহাব উদ্দিনের গর্তসহ মোট পাঁচটি বন্ধ কোয়ারী খুলে দেন পাথর খেকোরা। কিন্তু তাদের চাওয়ার পরিমান টাকা না দেওয়ায় রেজয়ানের একটি পাথর উত্তোলেনের গর্ত এখনো বন্ধ রয়েছে। এদের সাথে রয়েছে কানাইঘাট থানা পুলিশের গভীর সখ্যতা। বিদায় তারা থানা পুলিশের মাধ্যমে ঘরে বসেই সহজে টাকা উত্তোলন করতে পারেন। এই টাকার ভাগ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের কাছেও পাঠাতে হয়। তাদের এসকল অপকর্মের বিষয় ক্রাইম সিলেটকে জানিয়েছেন উপজেলার ছতিপুর গ্রামের বাসিন্দা পাথর ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দিন।

Manual3 Ad Code

থানাইঘাট থানা পুলিশের এএসআই বেলাল প্রতিদিন কোয়ারী এলাকায় পাহরা দিতে থাকেন। যার ফলে মাস শেষে বেলাল এ সকল টাকা আদায় করে তমিজ উদ্দিন বাহিনীর নিকট হিসাব সমজিয়ে দেন। এসকল দায়িত্বে রয়েছেন থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা।

Manual8 Ad Code

তাদের চাঁদাবাজির কারণে এলাকার শান্তিকামী লোকজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের পড়তে হয় বিভিন্ন হামলা মামলায়। বিদায় এই চক্রটি নিরবে পুলিশের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।

এই অবৈধ পাথর খেকো তমিজ বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিলেট জেলা পুলিশ সুপারসহ উদ্দতন কর্মকর্তাদের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার শান্তিকামী মানুষজন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2020
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
29  

সর্বশেষ খবর

………………………..