সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নেত্রকোনার কলমাকান্দায় হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় অসুস্থ গৃহবধূ নাজমা বেগম এখন মৃত্যুপথযাত্রী। তার চিকিৎসা ও জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নাজমার অসুস্থতা দেখা দেয়। পরে উপজেলা সদরের ড্রেইনপাড় এলাকায় মিম মেডিকেল হলের মালিক পল্লী চিকিৎসক মো. শহীদ মিয়ার কাছে যান ওই গৃহবধূর স্বামী মো. সজল মিয়া।
এরপর ফার্মেসির চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ না দিয়ে নিজেই চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেন। ফার্মেসি থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তার ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী আরেক পল্লী চিকিৎসক মো. আলী আজগর নাজমার শরীরে গ্লুকোজ ৫% স্যালাইন ও অন্যান্য ইনজেকশন দিয়ে পুশ করেন।
এরপর ওই গৃহবধূর অবস্থা বেগতিক দেখে ওই দিন দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূর অবস্থা আরো অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন ডা. আশেক উল্লাহ খান।
তিনি জানান, নাজমার শরীরে যে গ্লুকোজ ৫% স্যালাইনটি পুশ করা হয়েছিল এর মেয়াদ ছিল আগস্ট ২০১৮ পর্যন্ত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওই স্যালাইন পুশ করার কারণে নাজমার অবস্থার অবনতি দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক মো. শহীদ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে মেয়াদোত্তীর্ণ ওই গ্লুকোজ স্যালাইনসহ ব্যবস্থাপত্র দেয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
শহীদ মিয়া বলেন, ওই সময়ে আমার চোখে মুখে ঘুম ঘুম ভাব থাকায় এ ধরনের ভুল হয়েছে। তবে যিনি পুশ করেছেন তার স্যালাইনের মেয়াদ আছে কিনা দেখে পুশ করা উচিত ছিল।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd