সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রেমের টানে নেপাল থেকে এবার টাঙ্গাইলের সখীপুরে এসেছে সানজু কুমারী খাত্রী (২০) নামের এক তরুণী। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন কাকাড়াজান ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের প্রবাসী ছেলে নাজমুল হোসেনের সঙ্গে। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম রাখা হয়েছে খাদিজা।
সানজু কুমারী খাত্রী (২০) নামের ওই তরুণী প্রায় চার বছর ধরে মালয়েশিয়া একটি কোম্পানিতে কাজ করার সময় নাজমুলের সঙ্গে চেনা জানা ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। বাংলাদেশে আসার পর তারা দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঙালী নারীর মতো স্বাভাবিক কাজ-কর্ম করছেন তিনি। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সানজু কুমারী খাত্রী থেকে তার নাম রাখা হয়েছে খাদিজা। তিনি বাঙালী আচার আচরণ ও পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করলেও ভাষাগত কিছু সমস্যায় আছে। বাংলা ভাষা বুঝে কিন্তু বলতে কিছুটা সমস্যা হয় বলে জানায় নাজমুল। নেপালি আদালতেও তাদের বিয়ে হয়েছে। তারপর টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কোর্ট মেরেজ করেন এবং স্থানীয় এক নিকাহ রেজিস্টার দিয়ে বিবাহ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। নেপালের কাঠমুন্ডু শহরেই মেয়েটির বাড়ি সেখান থেকে পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করে নাজমুলের হাত ধরে বাংলাদেশে আসে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে খাদিজা আক্তারের নেপালি ভাষার অনুবাদ করে নাজমুল বলেন, বাংলাদেশর সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাজমুলকে অনেক ভালোবাসি। আমি আর নেপালে ফিরে যাব না।
নাজমুল বলেন, একটি হিন্দু মেয়ে আমাকে ভালোবেসে মুসলমান হয়ে আমাকে বিয়ে করেছে এবং দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশে এসেছে। আমি ওর প্রতি কৃতজ্ঞ। সবার কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাই।
নাজমুলের বাবা হুমায়ুন কবির বলেন, ছেলের বউ দেখে আমরা খুব খুশি হয়েছি। ওদের আনন্দেই আমরা আনন্দিত।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd