ভুট্টা ঘোষণায় এলো এক কোটি টাকার চকলেট

প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২০

ভুট্টা ঘোষণায় এলো এক কোটি টাকার চকলেট

Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : এবার সুইট কর্ন বা ভুট্টা আমদানির ঘোষণা দিয়ে পুরো একটি কন্টেইনারে বিদেশি ব্রান্ডের চকলেট নিয়ে এসেছে ঢাকার আমদানিকারক ‘সামিট ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল’। আমদানিকারকের ঘোষণামতে কন্টেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষা বা গণনার পর সেখানে ঘোষিত পণ্যের সন্ধান মিলেনি। আর পাওয়া গেছে প্রায় ১৫ হাজার কেজি চকলেট। আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ যোগসাজশে মাত্র ১৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে এক কোটি টাকার চালানটি বন্দর থেকে বের করার চেষ্টা হয়েছিল।

Manual6 Ad Code

গতকাল রবিবার চালানটি আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা দল কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে রাত পর্যন্ত সময় লাগে। আজ সোমবার বিস্তারিত তথ্য জানা যায়।

Manual6 Ad Code

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা দল এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা অনুসুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মাশরুম ঘোষণা দিয়ে গত রবিবার সিগারেটভর্তি কন্টেইনার চালানটি বের করার চেষ্টার সময়ই এই চালানটি বের করার চেষ্টা হচ্ছিল বলে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এই চালানটি খালাস পর্যায়ে কাস্টমস গোয়েন্দা দলের উপস্থিতিতে খুলে পরীক্ষা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি না করে ৬টি ট্রাক বুকিং দিয়ে বন্দরে ঢুকানো হয়েছিল এই পণ্য বের করার জন্য। দুটি চালানের যোগসূত্র আছে কিনা এবং ট্রাক কেন ঢুকলো সব তদন্ত করে দেখছি।’

Manual5 Ad Code

জানা গেছে, ঢাকা মতিঝিলের টয়েনবি সার্কুলার রোডের আমদানিকারক সামিট ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল তুরস্ক থেকে এক কন্টেইনার সুইট কর্ন আমদানির ঘোষণা দেয়। এজন্য পূবালী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ১০ হাজার ৮৯৩ মার্কিন ডলারের ঋণপত্র খুলে আমদানিকারক। চালানটি সিঙ্গাপুর বন্দর থেকে ‘ওয়াই এম ইনভেনটিভ’ জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের ‘সুপারসনিক ফ্রেইট সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড’ গত ২৫ জানুয়ারি চালানের বিল অব এন্ট্রি জমা দেয়। সুইট কর্ন ঘোষণা দিয়ে ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকার শুল্ক পরিশোধ করে বন্দর থেকে ছাড়ের আগমুহূর্তে কাস্টমস গোয়েন্দা দলের হাতে ধরা পড়ে।

রবিবার কন্টেইনারটি খুলে কায়িক পরীক্ষার পর কোথাও ঘোষিত পণ্যের সন্ধান মিলেনি। সেখানে সবগুলো বিদেশি ব্রান্ডের চকলেট পাওয়া যায়। এরমাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শুল্কফাঁকির চেষ্টা হয়েছে।

Manual6 Ad Code

গোযেন্দা কর্মকর্তা নুর এ হাসনা সানজিদা বলেন, চালানে বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের চকলেট পাওয়া গেছে। কোনো চকলেট সাড়ে তিন মার্কিন ডলার আর কোনো চকলেট সাড়ে ৫ মার্কিন ডলার ট্যারিফ আছে। এজন্য আমরা এ বিষয়ে কাস্টমস মূল্য নির্ধারণে গঠিত অ্যাসেসমেন্ট কমিটিতে পাঠাচ্ছি। কমিটি চালানের মূল্য এবং শুল্ক ফাঁকির চূড়ান্ত তথ্য নির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত দেবে। সেইমতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ কমপক্ষে ৬০ লাখ টাকা হবে। সবমিলিয়ে চালানটির মূল্য কোটি টাকার ওপর ছাড়াবে। অথচ মাত্র ১৫ লাখ টাকা শুল্ক এবং মূল্য পরিশোধ করে চালাটি বের করার চেষ্টা করেছিল আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ। কাস্টমস গোয়েন্দা দলের হাতে না পড়লে চালানটি কৌশলে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের হয়ে যেতো।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..