সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: কানাইঘাট উপজেলার কেওটিহাওড় এলাকা থেকে ২০টি মহিষ চুরির ঘটনায় সিলেট জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৫ এ মামলা দায়ের করেন মস্তাক আহমদ। কানাইঘাট সি.আর মামলা নং- ৩৬৩/২০১৯। মামলার প্রেক্ষিতে কানাইঘাট অফিসার ইনচার্জকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এফআইআর করে তদন্ত করার এবং আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন সিলেট আমলী আদালত-৫ এর জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী। গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) এ আদেন দেন তিনি।
মামলার এজাহারে মস্তাক আহমদ উল্লেখ করেন, আব্দুশ শহিদ, রশিদ আলী, ফয়ছল আলম মিলে পার্টনারশীপ মহিষ মোটাতাজাকরণের ব্যবসার জন্য ৬০ লক্ষ টাকা পুজি করেন। উক্ত টাকার মধ্যে থেকে গত ১৪ নভেম্বর জকিগঞ্জ বাজার থেকে ১১ লক্ষ টাকা মূল্যে ১১টি মহিষ ও ২১ নভেম্বর কানাইঘাটের মমতাজগঞ্জ বাজার থেকে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা মুল্যে আরো ৯টি মহিষ ক্রয় করেন। উক্ত মহিষগুলো লালন পালন ও মোটাতাজাকরণের জন্য তাদের ব্যবসায়ীক পার্টনার আব্দুশ শহীদের ছেলে আব্দুল গণীকে দায়িত্ব দেন।
প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৩ নভেম্বর উপজেলার কেওটিহাওর ফালমারাটিলার উত্তর পশ্চিম দেসই খালের পানিতে মহিষগুলোকে বিশ্রামের জন্য রেখে দুপুরের খাবার খেতে যান আব্দুল গণি। কিন্তু খাবার শেষে উক্ত স্থানে মহিষগুলো পাননি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে কোথায়ও মহিষগুলোর হদিস পাওয়া যায়নি। পরদিন অর্থাৎ ২৪ নভেম্বর জুনেদ হাসান জিবান ও তুতা মিয়া মামলার বাদী মোস্তাক আহমদকে জানান একই থানার বাউরবাগ ৪র্থ খন্ডের মৃত আব্দুল হান্নানের পুত্র আব্দুন নুরের বাড়িতে মহিষগুলো রাখা আছে।
এরপর মহিষের মালিক আব্দুশ শহিদ, রশিদ আলী, ফয়ছল আলম ও মোস্তাক আহমদ মহিষ আনতে আব্দুন নুরের বাড়িতে গেলে উল্টো তাদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে সিলেট জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৫ এ মামলা দায়ের করেন মস্তাক আহমদ। এ মামলার প্রেক্ষিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এজাহারগণ্য এফআইআর রুজু করে তদন্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
এ ব্যাপারে মোস্তাক আহমদ জানান- মামলা দায়েরের পর মহেষ চোর আব্দুন নুর ও তার সহযোগীরা মহিষগুলো বিক্রির পায়তারা করছে। যেকোন মূহূর্তে মহিষগুলো বিক্রি করতে পারে। তাই থানা পুলিশকে এ ব্যাপারে দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd