সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের ওসমানীনগরে সমাপনি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ধূমপানকারী হল সুপার স্বপন কুমার দাশকে ইউএনও এর হস্তক্ষেপে কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অবশেষে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রথম দিনের সমাপনি পরীক্ষার কেন্দ্রের ভিতরে শিক্ষকের ধূমপান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গোটা উপজেলায় জড় উঠলেও বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা চলতি দায়িত্ব আব্দুল মুমিন মিয়া। তিনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে বহাল রেখেছিলেন।
এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার উপজেলার সচেতন মহলসহ সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাহমিনা আক্তারকে অবহিত করলেও সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফকিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের হল সুপার স্বপন কুমার পালকে চলতি সমাপনির পরীক্ষার কার্যক্রম থেকে
অব্যাহতি দেয়া হয়।
পরীক্ষার বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট অনেকেই জানান, ধূমপান করার ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা সত্বেও অদৃশ্য কারণে তিনি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছিলেন না। শিক্ষার্থীদের সামনে প্রকাশ্যে ধূমপান করার বিষয়টিকে ওই কর্মকর্তা স্বাভাবিক ভাবেই দেখছিলেন। অবশেষে ইউএনও এর হস্তক্ষেপে সোমবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষকে হল সুপারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: তাহমিনা আক্তার বলেন, গতকাল সোমবার বিকালে ওই শিক্ষককে কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, সামাপনী পরীক্ষার প্রথম দিন রবিবার ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে হল সুপারের প্রকাশ্যে ধূমপানের ছবি রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। হল সুপারের দায়িত্বে থাকা উপজেলার ফকিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সচেতন মহলের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় থাকা ওই শিক্ষক বহাল তবিয়তে সোমবারও হল সুপারের দায়িত্বে বহাল থেকে ছিলেন। এছাড়া সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পক্ষ থেকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত থেকে সাংবাদিকদের ফোন পর্যন্ত রিসিভ করেননি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd