সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৬নং ফতেপুর ইউনিয়নের ২য় খন্ড গ্রামে মৃত সিরাজ উদ্দিনের পুত্র বশির উদ্দিনের উপর মিথ্যা মামলা এবং স্থানীয় কিছু মুরব্বীদের ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে ভিটেমাটিও উচ্ছেদ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। এই প্রতিবাদ করায় ইউপি চেয়াম্যানের সড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এই চক্রে সাজানো মিথ্যা মামলায় বর্তমানে কারাভোগ করছে সে।
এই চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বশির উদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার জিল্লুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ফতেপুর ইউনিয়নের ২য় খন্ড এলাকায় এসে সরকারি জায়গা ও গরিব মানুষের ভিটেমাটি নামমাত্র মূল্যে হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাকে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ।
ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে ব্যবহার করে বশির উদ্দিনের উপর ৫টি মিথ্যা মামলা ও তাকে ভারতীয় মদ ও গাঁজা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেন। এরপর সে সাড়ে ৪ মাস কারাভোগ করে পরে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চাপে পড়ে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ও তার উপর যাবতীয় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার শর্তে শালিসে রাজি হয়। এই সুবাদে বশিরের কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করার পর তাকে টাকা না দিয়ে দীর্ঘ ৮ মাস সময় পর করেন। এ বিষয়ে যারা আপোষের নামে প্রতারণা করেছে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হাসান, মিনহাজ উদ্দিন সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং ২২৫/২০১৯।
মামলা দায়েরের পর স্থানীয় চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ চৌধুরী শালিসের নামে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর জোরপূর্বক হাত-পা বেধে স্বাক্ষর নেন।
কিন্তু পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না বশিরের। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এই চক্রের মূলহোতা জিল্লুর রহমানের ২২ লক্ষ টাকার একটি চাঁদাবাজীর মিথ্যা মামলায় এই পঙ্গু অসহায় ব্যক্তিতির ৫ বছরের জেল হয়েছে। সারাদিন তার সাথে পরিবারের কেউ যোগাযোগ করেনি। এমনকি কিভাবে বের হবে তার সে কিছু জানে না।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গতকাল একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এক শ্রেণীর কিছু তৈলবাজ চেয়ারম্যানের হয়ে ফেসবুকে একের পর এক গুণগাণ গেয়ে পোষ্ট করছেন।
বিস্তারিত আসছে চেয়ারম্যানের তৈলবাজদের ও চেয়ারম্যান হয়ে কি ভাবে স্কুলের শিক্ষকতা করান তিনি—-
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd