বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ৭-৮ ও ৯নং ওয়ার্ডস্থ বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের কাদিপুর-ইলামেরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় সংযোগ রাস্তার মধ্যখানে একটি কালভার্টের অভাবে এলাকাবাসী রয়েছেন দুর্ভোগে। এ রাস্তা দিয়ে রামপাশা ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকার কৃষক ও স্থানীয় কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। রাস্তার মধ্যখানে একটি কালভার্ট না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এলাকার কৃষক ও শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলে করে আসছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের কাদিপুর নামক স্থান থেকে ইলামেরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সামন পর্যন্ত এ রাস্তাটি রয়েছে। রাস্তাটি এখনও পাঁকাকরণ হয়নি। রাস্তার মধ্যখানে একটি কালভার্ট নেই। কালভার্ট না থাকায় স্থানীয় শিক্ষার্থী ও কৃষকদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায়। রাস্তার দুই পাশে প্রচুর ধানী জমি রয়েছে। আর এসব জমিতে চাষাবাদ করতে কৃষকদের পুহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। এ রাস্তার দিয়ে রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর, দশদল, লামারচক, আজিজনগর, ইলামেরগাঁও, পুরান, আনরপুর, দশপাইকা, বিশঘর গ্রামবাসী চলাচল করেন। প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং নানা শ্রেণী পেশার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু কার্লভাট না থাকায় প্রতিনিয়তই তারা পড়ছেন মহা বিপদে। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ইলামেরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় কৃষকরা।
কাদিপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম বলেন, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে এলাকার শিক্ষার্থী ও কৃষকরা যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তার মধ্যখানে একটি কার্লভাট না থাকায় আমাদের পুহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। অনেক বৃদ্ধা কৃষক এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন ঝুঁকি নিয়ে। এ রাস্তার মধ্যখানে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্র্তপক্ষে কাছে তিনি দাবি জানান।
শিক্ষার্থী রিপা বেগম বলেন, আমি প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে এসে ভয় লাগে। রাস্তার মাঝখানে কার্লভাট কিংবা ছোট একটি ব্রীজ না থাকায় আমাদের কষ্ঠ করে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে হয়। আমাদের দাবি আমরা যাতে সুন্দর ভাবে পড়াশোনার জন্য বিদ্যালয়ে যেতে পারি সেজন্য যাতে কার্লভাট নির্মান করা হয়।
রামপাশা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাছির মিয়া বলেন, সম্প্রতি সরকারের বরাদ্ধ থেকে ওই রাস্তায় কিছ ু মাটি ভরাট করি। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছেন। কিন্তু রাস্তার মধ্যখানে একটি কালভার্ট নির্মাণ খুবই জরুরী। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের আলোচনা করেছি।
একই ইউপির অপর সদস্য ইছাক আহমদ জানান, এ রাস্তার মধ্যখানে কালভার্ট নেই। সত্যি এটি একটি মরণফাঁদ। রাস্তার মধ্যস্থল হওয়া এটার দিকে কারো তেমন খেয়াল নেয়া হয়নি। আমাদের ইউপি চেয়াম্যান এবং সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তা মধ্যখানে কালর্ভাট নেই জানানো হয়। এ রাস্তার দুটি কালর্ভাটের প্রয়োজনী বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ওই রাস্তার মধ্যখানে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করি।