সিলেটের পাথর কোয়ারীগুলো বন্ধ: লাখ লাখ শ্রমিকদের হাহাকার

প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৯

সিলেটের পাথর কোয়ারীগুলো বন্ধ: লাখ লাখ শ্রমিকদের হাহাকার

Manual6 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের একতৃতীয়াংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে পাথর কেন্দ্রিক জীবিকার উপর নির্ভরশীল। পাথর কোয়ারীগুলো বন্ধে গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের কোয়ারিগুলো লাখ লাখ শ্রমিকের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। সম্প্রতি পরিবেশবাদী সংগঠন গুলো সিলেটের সব কয়েটি পাথর কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট–৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন,পরিবেশবাদী সগঠন গুলো সিলেটের সব কয়েকটি পাথর বন্ধের দাবির জানিয়েছে তাহলে আমার নির্বাচনী একাকার জনসাধারণ আমার এলাকার শ্রমিক চলবে কিভাবে?
পর্যটনকে সচল রেখে পাথর কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলনে বাধা কোথায়? আমার এলাকার জনসাধারণের কথা তো আমাকেই চিন্তা করতে হবে।

Manual1 Ad Code

মন্ত্রীর এই বক্তব্যে সিলেট–৪ আসনের মানুষের যেন প্রানের সঞ্চার হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা মন্ত্রী ইমরান আহমদের হস্তক্ষেপে দ্রুত সম্ভব সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী আবারো সচল হয়ে উঠবে।

Manual7 Ad Code

পাথর কোয়ারী বন্ধে লাখো শ্রমিকের আর্তনাদ-সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। পাথরের রাজ্য হিসেবে পরিচিত সিলেট জেলা। এই জেলারই সবচেয়ে বড় পাথর খনি অবস্থিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। যেখানে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ কাজ করতো। যে কাজ করতে পারে না সেও নাকি এখানে দিনে ৩০০-৫০০ টাকা উপার্জন করতে পারে। লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের কর্মক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত ছিল গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ।

যেখানে কোয়ারী গুলোতে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো। কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কোম্পানীগঞ্জের সবচেয়ে বড় পাথর খনিগুলো এখন বন্ধ। চোঁখের তৃপ্তি আর মনের সাধ মেটানোর জন্য ভোলাগঞ্জ আর উৎমা কোয়ারী দুটিও বন্ধ।

Manual2 Ad Code

৬শত ৪০কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মহাসড়ক যার কাজ প্রায় শেষের পথে। এই মহাসড়ক হওয়ার সাথে সাথে এলাকার মানুষেরও আশার পালে হাওয়া লেগেছে,সরকার হয়তো এবার শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ দুর্দশার দিকে তাকিয়ে এবং সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে কোম্পানীগঞ্জের পাথর কোয়ারী গুলো খুলে দিবে।

যে কোম্পানীগঞ্জকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেঁচে নিত সেই কোম্পানীগঞ্জের মানুষই এখন কর্মহীন হয়ে বসে আছে। একমাত্র শাহ আরফিন পাথর কোয়ারীটি সচ্ছল ছিল বলে ঐ অঞ্চলের লোকজন কিছুটা রুজিরোজগার করে দু’বেলা দুমুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে পারছে। কিন্তু গত (২৩সেপ্টেম্বর) থেকে এই পাথর কোয়ারীটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অত্র এলাকার লোকজনের বিকল্প কোন কর্মক্ষেত্র না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। কিছু দিন পূর্বে বৃষ্টির সময় যখন এই কোয়ারী বন্ধ ছিল তখন প্রায়ই শুনা যেত ভোলাগঞ্জ সহ অত্র এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় চুরি,ডাকাতি সহ বিভিন্ন অপকর্মের কথা। শাহ আরফিন টিলা কোয়ারীটি সচল হওয়ায় এই ঘটনা গুলো কমতে শুরু করে। উপার্জনের উপায় না থাকলে মানুষ অসৎ উপায় বেঁচে নিতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এলাকার সচেতন মহল।

Manual1 Ad Code

সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী গুলোকে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষের কর্মক্ষেত্র হিসেবে খুলে দিয়ে আগের মত কর্মচাঞ্চল্যে ফিরিয়ে আনার জন্য আহ্বান জানান অত্র এলাকার ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2019
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..