সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সুনামগঞ্জে তাহিরপুর উপজেলা উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের পাটলাই নদীর ইজারাদার জেলা জাতীয় যুব শ্রমিকলীগ সহসভাপতি মতিউর রহমান বিএনপি থেকে আ,লীগে অনুপ্রবেশকারী। দলে যোগ দিয়ে গত দশ বছরে গড়েছেন অবৈধ ক্ষমতা ও টাকার পাহাড়। ছিলেন উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সাবেক যুবদল সাধারন সম্পাদক। উপজেলা আ,লীগের সভাপতি ও জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁর সম্পর্কে শালা(চাচাত বোনের জামাই) সেই সুবাধে তিনি এলাকায় গড়েছেন অবৈধ ক্ষমতা ও টাকার পাহাড়। ক্শতার দাপটে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের পাটলাই নদীর ইজারা এনে নিজের প্রভাব খাটিয়ে ও শক্তি প্রয়োগ করে নিজের মত করে নদীতে বলগেইট,ষ্টিল বর্ডি বড়,ছোট ও দেশীয় নৌকা থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে।
বাধা দিলে নেমে আসে তার লাঠিয়াল বাহিনীরদের অত্যাচার অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। শেখ গোলাম কাদির সুজন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবুল হাসনাত রিফাত,মেহজাবিন খানম,হুমায়ুন কবির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিজেদের আইডিতে লিখেছেন ও এলাকাবাসী জানায়,মতিউর রহমান ছিলেন বিএনপির সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বিএনপির যুবদল সাধারন সম্পাদক। ক্ষমতার রদ বদল হলে আ,লীগ ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান উপজেলা আ,লীগের সভাপতি ও জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁর (শালা মতিউর)হাত ধরে আ,লীগে অনুপ্রবেশ করে। এরপর পেয়ে জান জেলা জাতীয় যুব শ্রমিকলীগ সহসভাপতির পদটিও। কিন্তু মনে বিএনপির প্রতি গভীর ভালবাসা রয়ে যায় তার মাঝে এরই ফলশ্রুতিতে গত তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আনিসুল পক্ষে ও জাতীয় নির্বাচনে নজির হোসেনের পক্ষে কাজ করে আ,লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত এবং বাংলাদেশ আ,লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার ভরাডুবি করার জন্য বিএনপির প্রার্থী পক্ষে সভাসমাবেশে ব্যস্ত ছিল মতিউর রহমান।
তারা আরো লিখেন,মতিউর বিএনপি সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময় হতে অদ্যাবধি দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে নদীপথে চাঁদাবাজি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পূর্বে তার নামে রয়েছে ডাকাতি চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের একাধিক মামলাও। তিনি আবার খুব কৌশলী প্রকৃতির লোক মতিউর ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়বহন করে অপকর্ম ধামাচাপা দিয়ে পারপেয়ে যায়। কিছুদিন পুর্বে তার চাঁদাবাজির সহযোগীর একাধিক ব্যাক্তি চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে পুলিশ ও র্যাব এর হাতে একাধিক বার আটক হলেও মতিউর থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এব্যাপারে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে মতিউর সংবাদ সস্মেলন করে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে সে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের অপচেষ্টা চালায়। আরো জানাযায়,পাটলাই নদীর ইজারাদার আ,লীগে অনুপ্রবেশকারী জেলা জাতীয় যুব শ্রমিকলীগ সহসভাপতি পরিচয়ধারী ইজারাদার মতিউর রহমানকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করছে উপজেলা আ,লীগের সভাপতি ও জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খাঁ ও উপজেলা আ,লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকন। এই কারনে ইজারাদার মতিউর রহমান থেকে যাচ্ছে সবার অধরা।
নৌ পথে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলে গত ২৫,০৬,১৯তারিখে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবুল হাসনাত রিফাত। কিন্তু বারবার বেপরোয়া চাঁদা আদায়ের সময় হাতে নাতে মতিউরের সহযোগীরা পুলিশ বা আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার,মামলার শিকার হলেও নৌ পথে যেমন বন্ধ হয়না বেপরোয়া চাঁদাবাজি তেমনি মামলা বা গ্রেফতারেও রহস্যজনক কারনে মতিউর থাকেন সব সময়ই অদৃশ্য। কারন চাঁদাবাজির আয়ের টাকা মতিউর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়ে যান বহাল তবিয়্যতে।
এতে করে তিনি অল্প সময়ে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক অভিযোগ নৌযান মালিক ও শ্রমিকসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ বিষয়ে উপজেলা আ,লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খাঁ জানান, মতিউরের সাথে আমার আতœীয়তার সর্ম্পক রয়েছে ঠিকই, তবে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন ধরনের অন্যায়, অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ আমার কাছে করেনি। দলের সম্মেলন দেখছে তো তাই কিছু টাউট বাটপার আছে তাদের কাজই হলো মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা। যাদুকাটা নদীতে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সেই খবর তো কেউ লিখছেন না। আপনারা এই বিষয়ে খোজ নিয়ে দেখেন কেমন চাদাঁবাজি হচ্ছে। জেলা জাতীয় যুব শ্রমিকলীগ সহসভাপতি পরিচয়ধারী ইজারাদার মতিউর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায় নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd