সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বগুড়ায় ঘুষের টাকা না পেয়ে এক নববধূকে শারীরিক নির্যাতন ও বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পুলিশের এক এসআইয়ের বিরুদ্ধে। আহত ওই নববধূকে আহত অবস্থায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনিরা আকতার নামের ওই নববধূ জানান, তিনি গাবতলীর ফজিলা আজিজ মেমোরিয়াল টেকনিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন। সম্প্রতি একই উপজেলার সোনারায় ইউপির মধ্যখুপি গ্রামের ইমরান হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে তাদের সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নেননি মনিরার বাবা জাহিদুল ইসলাম। তিনি উল্টো ইমরানের নামে গাবতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এই অবস্থায় গত ১ নভেম্বর মনিরা ও ইমরান নিজেরাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর পর থেকে মনিরা তার স্বামী ইমরানের গ্রামের বাড়িতে বসবাস শুরু করে। খবরটি জানতে পেরে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিপন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রোববার রাত ১০টার দিকে ইমরানের বাড়ি ঘেরাও করে। এরপর লাথি মেরে ঘরের দরজা ভেঙে নব দম্পতির ঘরে ঢুকে পড়ে।
এ সময় এসআই রিপন অভিযোগের তদন্তকারী হিসেবে কেন তাকে না জানিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করা হলো মনিরার কাছে তা জানতে চান। মনিরা কারণ জানালে, ক্ষুব্ধ হয়ে এসআই রিপন মিয়া বলেন, ‘ঠিক আছে বিয়ে করেছিস ভালো কথা, এখন ১০ হাজার টাকা দে।’ এই বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মনিরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রিপন মিয়া আরও ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে চড়-থাপড়, কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি (এসআই) মনিরাকে লাঠিপেটা করেন। এ সময় মনিরার স্বামী ইমরান তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করা হয়।
এক পর্যায়ে তাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে এসআই রিপন মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে মাঝরাতেই আহত অবস্থায় মনিরাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে এসআই রিপন মিয়া জানান, আমি মারপিট করিনি। অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। এর বাইরে কোনো কিছু নেই।
এ বিষয়ে গাবতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন বলেন, এসআই রিপন মিয়া দোষী হলে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd