সিলেট ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার :: কানাইঘাট থানার সড়কের বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত দিন ব্যতীত প্রতিদিন সীমান্তে গরুর হাট পরিচালনা করে আসছিল। অবৈধ গরুর হাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায় সময় বিভিন্ন গ্রæপের মধ্যে দ্ব›দ্ব-বিবাদ বিদ্যমান ছিল। এছাড়া রাস্তার উভয় পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে এবং গাড়ী রেখে জনসাধারনের চলাচলে দূর্ভোগ সৃষ্টির বিষয়টি স্থানীয় সংবাদপত্র, অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে আসে।
বিষয়টি সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর নজরে আসলে জনদূভোর্গ নিরসনে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব শামসুদ্দোহা পিপিএম কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নিদের্শনা প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সকাল ১০.০০ ঘটিকা হতে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল সড়কের বাজার এলাকায় স্থাপিত অনুমোদনহীন গরুর বাজার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
যার প্রেক্ষিতে সড়কের বাজার এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসায় জনদূর্ভোগ নিরসন হয়। এদিকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(সাময়িক দায়িত্বে) মোঃ মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে এসআই/ফারুক খন্দকার সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ রবিবার রাত ০৮.৩৫ ঘটিকায় ছিটাফুলবাড়ী সাকিনস্থ গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারত হতে চোরাই পথে আনা গরু বহনকারী ট্রাক যার রেজিঃ নং-বগুড়া ড-১১-২১৪০ হতে ৫২টি গরু, রেজিঃ নং- বগুড়া-ড ১১-২১৬২ ট্রাক হতে ৪২ টি গরু এবং রেজিঃ নং- সিরাজগঞ্জ-ড-১১-০৫৫৮ ট্রাক হতে ৩৯ টি সহ মোট ১৩৩ টি গরু উদ্ধার করেন। এ সময় বিনা শুল্কে গরু চোরাচালানের সাথে জড়িত ১। গোলাপগঞ্জ থানার বারকোট সাকিনের ফুডু কুটু মিয়ার পুত্র জিলাল আহমদ(৪২) ২। ঘোগারকুল সাকিনের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র হেলাল উদ্দিন(৫৫) ৩। বগুড়া সদর থানার পলাশ বাড়ী সাকিনের আঃ করিম এর পুত্র মোঃ বিপ্লব(২৮) ৪। একই গ্রামের আলতাব আলী পুরা মানিকের পুত্র মোঃ খাজা পুরা মানিক(৪৯) ৫। বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ছাতুয়া সাকিনের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মহসিন (৩৫) ও ৬।
সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার বাজার এলাকার মৃত সোলেমান হোসেন খান এর পুত্র লিটন খান (৩৮) কে আটক করা হয়। এ সংক্রান্তে এসআই/ফারুক খন্দকারের দাখিলকৃত এজাহারের ভিত্তিতে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদগ ফরিদ উদ্দিন বলেন, চোরাচালানের মাধ্যমে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। এ ধরণের কর্মকান্ড প্রতিহত করতে জেলা গোয়েন্দা শাখার পাশাপাশি থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd