হবিগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১০:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০১৯

হবিগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ উদ্ধার

হবিগঞ্জর চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা দুধপাতিল গ্রামের মুহুরী ছড়ায় অদূরে সাল বাগান থেকে তামান্না আক্তার  প্রিয়া (১৪) নামের এক কিশোরীর  লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। সে গাজীপুর ইউনিয়নের দুধপাতিল গ্রামের আব্দুল হান্নানের মেয়ে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ১১টায়  দুধপাতিল মহুরী ছড়ার পাশে বন্দের বাড়ি পশ্চিমে সাল  বাগানে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার এসআই মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মৃত দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। সংবাদ পেয়ে মাধবপুর সার্কেল সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার মোঃ নাজিম উদ্দিন ও চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তামান্নার পিতা মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান  জানান, আমি প্রতিদিনের ন্যায় দোকানে চলে আসি। সোমবার রাত অনুমান ৮টার সময় হঠাৎ তার ভাবী জুবেদা খাতুন ফোন দিয়ে জানায় তামান্নাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা এরপর তিনি তড়িগড়ি করে দোকান বন্ধ করে তামান্নাকে খুঁজতে বের হন। হান্নান তার আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তামান্নাকে কোথাও পাননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হান্নানের দুটি সন্তান রয়েছে। হান্নানের স্ত্রী সেলিনা বেগম দালাল চক্রের মাধ্যমে দেড় বছর পূর্বে  জীবিকা নির্বাহের জন্য সৌদি আরব চলে যান। এর পর থেকে বাড়িতে একা থাকে তার সাত বছরের ছোট ছেলে ও কিশোরী তামান্না। আব্দুল হান্নান সবসময় কাজের জন্য বাহিরে থাকেন। তাই তাদের দেখার মত কেউ ছিল না।

অপর একটি সূত্রে জানা যায়, তামান্নাকে বিদেশ পাঠাতে ছেয়েছিল তার পরিবারের লোকজন। এনিয়ে তার পরিবারে দেনদরবার চলে আসছিল । তামান্নার মৃত্যু নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে নানা প্রশ্ন।  কেউ বলছেন বিদেশ পাঠানোর নামে তাকে কোন  দালাল চক্র  ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। আবার কেউ বলছেন কোন প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে এঘটনা হতে পারে । এনিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন।

চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় আমরা তিন জনকে আটক করেছি।  জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

মামলার তদন্তকারী  কর্মকর্তা এস আই শেখ আলী আজহার জানান, তামান্নার সুরতহাল রিপোর্টে প্রাথমিক অবস্থায় ধর্ষণের আলামত ও তার বাম গালে কামড়ের দাগ রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন হবে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..