সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম আব্দুল মান্নান (৮০)। আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে পৌরশহরে এই ঘটনা ঘটে। পৌরশহরের উত্তর বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের সদস্য ছালেক আহমদের বিরুদ্ধে মান্নান কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ছালেক বড়লেখা পৌরসভার হাটবন্দ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অটোরিকশা চালক ছালেক আহমদ শুক্রবার রাত নয়টার দিকে বাজারে সবজি কিনছিলেন। একই সময় আব্দুল মান্নান তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, মান্নানকে দেখে কোনো কারণ ছাড়াই ছালেক হাসি-টাট্টা শুরু করেন। এতে আব্দুল মান্নান তার হাতে থাকা থাকা টর্চ লাইট দিয়ে ছালেকের পেছনে আঘাত করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন ছালেক। দৌড়ে গিয়ে পাশের একটি হোটেল থেকে কাঠের টুকরো এনে মান্নানকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে মান্নানের ঘাড়ে কাঠ দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় তার কান ও নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন ছালেককে নিবৃত্ত করেন এবং উত্তম-মাধ্যম দেন। পরে মান্নানকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মধ্যবাজার সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের সভাপতি সুমন আহমদ শনিবার বিকেলে জানান, ছালেক আমাদের সিএনজি স্ট্যাডের সদস্য। একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে এভাবে মারা ঠিক হয়নি। সে অমানবিক কাজ করেছে। ঘটনার পর আব্দুল মান্নানকে আমরা গাড়ি দিয়ে সিলেট ওসমানি হাসপাতালে পাঠিয়েছি। স্থানীয়রা ছালেককেও মেরেছেন। এখন সে পলাতক রয়েছে। তাকে পেলে আমরা পুলিশে ধরিয়ে দেবো।
এব্যাপারে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিক হাসপাতালে একজন পুলিশ অফিসারকে পাঠাই। আব্দুল মান্নানকে কেন তাকে মারধর করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে খোজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
………………………..
