সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে গত ১০ বছরে ২২টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বর্ষা মৌসুমে হাওর ও নদী পথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীরা রয়েছেন চরম শঙ্কিত। বর্ষায় বিশাল জলরাশি বিস্তীর্ণ হাওর পাড়ের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাহন নৌযান ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এ কারণেই হাওরে ও নদী পথে প্রতিনিয়তই নৌদুর্ঘটনার আশংকা যেন পিছু ছাড়ে না যাত্রীদের।
জেলার দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাসহ প্রতিটি উপজেলায় বর্ষাকালে নদী পথে হাওরে যাতায়াতে ও পণ্য পরিবহনে একমাত্র সহজ ব্যবস্থা হচ্ছে ইঞ্জিন চালিত স্টিল বডি নৌকা ও কাঠের তৈরি নৌকা। বেশি লাভের আশায় অতিরিক্ত মালামাল পরিবহন করা, অদক্ষ চালক, অসাবধানতা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, জোড়াতালি দিয়ে ত্রুটিযুক্ত ট্রলার চলাচলের কারণে বিগত কয়েক বছরে এই পথেই ২২টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২৬ জন যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজারও যাত্রী।
তার মধ্যে শিক্ষার্থী, নারী-শিশুসহ গরিব অসহায় শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যাই বেশি। তবে নৌ চলাচলে যে নীতিমালা আছে তা নৌ-মালিকরা যদি মেনে চলেন আর শ্রমিকদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করলে দুর্ঘটনার হার কমবে। এ ব্যাপারে চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদার বলেন, নৌপথে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মেরিন কোট স্থাপন, বিআইডব্লিউটির শাখা স্থাপন ও জনসচেতনতা তৈরি করলে দুর্ঘটনা কমে যাবে।
জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ আল-আজাদ বলেন, নৌ চলাচলে যে সব নীতিমালা রয়েছে তা অমান্য করার কারণেই বিভিন্ন সময়ে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও সময়ে সময়ে টহলরত থাকলে নৌ-মালিক ও শ্রমিকরা আরও বেশি সচেতন হবেন। এর ফলে নীতিমালায় চলে আসলে দুর্ঘটনাও কমে যাবে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd