জৈন্তাপুরের নিবার্হী অফিসার মৌরীন করিমের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯

জৈন্তাপুরের নিবার্হী অফিসার মৌরীন করিমের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালানোর অভিযোগ

Manual4 Ad Code
নির্বাহী অফিসার মৌরিন করিম,সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।  তিনি ২৯তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার হয়ে গত বছর নভেম্বর মাসে জৈন্তাপুর উপজেলায় ২৬তম  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব পাওয়ার পর পুরো উপজেলা কে একটি অত্যাধুনিক  নগরী হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেন।তিনি অরাজনৈতিক পরিবার থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। একজন নারী হয়েও অর্জন করেন দেশের সর্বচ্চ ডিগ্রি, নিয়োগ পান প্রথম শ্রেণীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে। পরিবার থেকে শিক্ষা নেওয়া এই নারী কখনো তার  নীতি আর্দশকে বির্সজন দেয়নি। কোন প্রতিবন্ধকতাই তার নীতি আর আর্দশকে হার মানাতে পারেনি।।
যে কারণে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ধান্দাবাজ,প্রতারক ,ভুমিখেকুঁ,অবৈধ ব্যাবসায়ী, মুনাফালোভী চক্রের কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারীরা ইউএনও মৌরীন করিম’কে নিয়ে নানা ধরনের কুৎসা রটাচ্ছে।সৎ ও আর্দশবান ইউএনও জৈন্তাপুর উপজেলায় যোগদানের পর অপরাধীচক্রের  বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে পরিচালনা করেন একধিক অভিযান এতে বিভিন্ন মেয়াদে দন্ড প্রদান করা হয়।
ফলে অপরাধীচক্রের অনেকেই লগুদন্ড-গুরুদন্ডে দন্ডিত হন। এ কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিমকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের পায়তারা করছে অপরাধীচক্রের সদস্যরা। কর্মস্থল জীবনে তিনি জনপ্রশাসনের জনবান্ধব কাজ পরিচালনা করে মানুষের মনে চিরস্থায়ীভাবে জায়গা করে নেন। তবে,ইউএনও মহোদয়ের নীতি আর আর্দশই আজ তাকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
ইতুপূর্বে  তিনি সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মস্থলে একজন আর্দশবান নির্বাহী অফিসার’ হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। সফল এই নারী ইউএনও অসংখ্য পুরস্কারে ভুষিত হন। ২০১৫ সালে  প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর  থেকে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ নারী কর্মকর্তা পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৬ সালে  সিলেট বিভাগের কমিশনার ভুমি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন। জৈন্তাপুর উপজেলায় যোগদানের পর  ২০১৮ সালে  জৈন্তাপুর উপজেলা শ্রেষ্ঠ ওয়েব পোর্টাল নির্বাচিত হয়।
২০১৯ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের অধীনে জনকল্যাণ মূলক কাজে অবদানের জন্য তিনি ‘শুদ্ধাচার’ পুরস্কার পান।তিনি জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বি গ্রহনের পর  প্রথমে বাল্যবিবাহ-যৌতুক প্রথা উচ্ছেদ, মাদক মুক্ত সমাজ গঠন,দুর্যোগ মোকাবিলা পূর্বপ্রস্তুতীর কমিটি গঠন, যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়ন পরিকল্পনা ,উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের বাস্তবায়ন, আশ্রয়ন প্রকল্পের সংস্করণ,দরিদ্র বিমোচন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে সহয়তা প্রদান,শ্রীপুর পাথর কোয়ারী এলাকায় ঝড়েপড়া শিশুদের জন্য শিক্ষা  স্কুল নির্মাণ,
জৈন্তাপুরের খাসি নদীতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ,সরকারী ভুমি অপদখল প্রথা বন্ধ ,জমিজামা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পতি, ইউনিয়ন পরিষদের হোলডিং টেক্স আদায়ের পরিকল্পনা গ্রহন,দুর্যোগকালীন ত্রাণসামগ্রী বিতারণ পদ্ধতি সর্ম্পকে ধারনা,দরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির বাস্তবায়ন,সরকারের  নতুন কর্মসূচি সর্ম্পকে জনগনকে সচেতন মূলক প্রশিক্ষণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রর্দশনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনসহ সকল জাতীয় দিবসে স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিত রেখে  মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস শোনানো।
মহান স্বাধীনতা দিবসে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ও ছবি সংবলিত সম্মাননা স্মারক ও সংবর্ধনা প্রদান । পিছিয়ে পড়া জৈন্তার সাংস্কৃতি উন্নয়নে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির নতুন কার্যালয় স্থাপন করে কমিটি গঠন শিক্ষক নিয়োগের ব্যাবস্থা গ্রহন করেন।সম্প্রতি সময়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সফল নারী নির্বাহী কর্মকর্তার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
মোট কথা মৌরিন করিম জৈন্তাপুরে যোগদানের পর সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা মূলক কর্মকান্ডে জৈন্তাপুর উপজেলা হয়ে উঠে একটি অত্যাধুনিক ও জনবান্ধব প্রশাসন।আমি জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়’র নীতি ও আর্দশকে অভিনন্দন  জানাই।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..