কুলাউড়ায় পানি নিষ্কাশন নালা ভরাটে কৃষকদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ৩:২৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯

কুলাউড়ায় পানি নিষ্কাশন নালা ভরাটে কৃষকদের দুর্ভোগ

Manual5 Ad Code

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের রনচাপ ও চকরনচাপ গ্রামে পানি নিষ্কাশনের নালা ভরাট করার কারণে কৃষকদের চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষকরা তাদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। ফসল বুনলে তা পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে।

Manual6 Ad Code

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। স্থানীয় উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর চেয়ারম্যান অভিযোগটি কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেন। কুলাউড়া উপজেলার তৎকালীন ইউএনও মোহাম্মাদ গোলাম রাব্বী বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কুলাউড়া থানার সাবেক ওসি মো. কামীম মূসা ও বর্তমান উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সাদিউর রহিম জাবিদ সরেজমিনে তদন্ত করেও নালাটি খুলে দিতে পারেননি।

লিখিত অভিযোগে কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, রনচাপ গ্রামের অজিত শীলের বাড়ির পাশের একটি নালা দিয়ে প্রায় ৫০ বছর ধরে আশপাশের ধানি জমির পানি নিষ্কাশন হতো। গত বছর অজিত শীল এই নালাটি মাটি ভরাট করে বন্ধ করে দেন। এতে কৃষকদের ফসল চাষাবাদ নষ্ট হচ্ছে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আশপাশের বাসিন্দাদের বাড়ি-ঘরে পানি ওঠে যাচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এ ব্যাপারে স্কুল শিক্ষক কুসুম রঞ্জন দাশ বলেন, ‘অনেক আগে থেকে এই নালা দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছিল। অজিত শীল এটা বন্ধ করে দেওয়ায় কৃষকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা আজ পানিবন্দি। আমরা চাই , এই সমস্যার সমাধানে জেলা প্রশাসন কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদেও দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ নিবেন।’

অভিযোগ অস্বীকার করে অজিত শীল বলেন, ‘এখানে আমি বাড়ি করেছি নিজের জায়গায়। নালাটিও আমার ব্যক্তিগত জায়গায়।’

হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাছিত বলেন, ‘আমি একাধিকবার এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে কোনো উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছি। কৃষক ও স্থানীয় মানুষরা দুর্ভোগে আছেন। এখন জেলা প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিলে আমি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভুক্তভোগী জনসাধারণের কল্যাণে সঙ্গে থাকবো।’

Manual1 Ad Code

জানতে চাইলে কুলাউড়া উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা ( অ্যাসিল্যান্ড) সাদিউর রহিম জাবিদ বলেন, ‘আমি নিজে সরেজমিনে সেখানে তদন্ত গিয়েছিলাম। অজিত শীলকে আমরা অনুরোধ করেছি নালাটি খুলে দিতে। কিন্তু এই জমি তার বলে তিনি দাবি করেছেন। এখন বিষয়টি আপাতত স্থানীয় মীমাংসার জন্য এলাকার গণমান্য ব্যক্তিদের আমরা বলেছি।’

Manual7 Ad Code

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানলাম। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।’

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..