সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
সিলেটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের নেত্রীদের নানা বিতর্কিত ও অপকর্মে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে মুল সংগঠনের নেতাদের। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করতে যাচ্ছেন নেতারা। জাতীয় মহিলা পার্টি ও যুব মহিলা লীগের কয়েকজন নেত্রীর অপকর্ম এখনো সিলেটের মুখে মুখে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
গত ২৫ আগস্ট সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের উপহার কমিউনিটি সেন্টারের পাশর্^বর্তী একটি বাড়ি থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে তিন নারীসহ ১৯ জনকে আটক করে জনতা। এলাকাবাসীর অভিযোগ ওই বাড়িতে প্রায়ই অসামাজিক কাজের আসর বসতো। আটক ওই তিন নারীর মধ্যে সিলেটের দুই নারীনেত্রীও ছিলেন। এদের একজন সিলেট জেলা জাতীয় মহিলাপার্টির সাধারণ সম্পাদিকা হেনা বেগম আর অপরজন হচ্ছেন সিলেট জেলা যুব মহিলালীগের অর্থ সম্পাদিকা মিনারা বেগম। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরদিন ৫৪ ধারায় তাদেরকে আটক দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে এলাকার লোকজন তাদেরকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে বলে জানিয়েছেন জৈন্তাপুর থানার ওসি শ্যামল বণিক।
অসামাজিক কাজে দুই নারী নেত্রী আটকের ঘটনা সিলেটে নানা মুখরোচক গল্পের জন্ম দিয়েছে। এই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার অসামাজিক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছিল।
এদিকে, গত কয়েক মাস আগে লন্ডনীকন্যা সেজে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠে সিলেট মহানগর মহিলাপার্টির সভানেত্রী শিউলি আক্তারের বিরুদ্ধে। নিজেকে লন্ডনীকন্যা পরিচয় দিয়ে বিয়ের নামে এক যুবকের সাথে প্রতারণা করে কয়েক লক্ষ থাকার অভিযোগ উঠে। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিউলি আক্তার। সদ্য ঘোষিত জাতীয় মহিলা পার্টির কমিটিতে শিউলি আক্তারকে সিলেট বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনিত করা হয়েছে।
কয়েক দিন পর পর এসব নারী নেত্রীদের অপকর্মের ঘটনা ফাঁস হলে নিজেরা বিব্রত না হলেও লজ্জায় পড়তে হচ্ছে মুল সংগঠনের নেতাদের। মানুষের মুখে মুখে ফেরা নানা মুখরোচক গল্পে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন তারা।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব উছমান আলী বলেন, জাতীয় মহিলা পার্টির যেসব নেত্রীর বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে তাদের ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রকে অবগত করবো। কেন্দ্র থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হবে। সংগঠনকে বিতর্কমুক্ত করতে জেলা ও মহানগর জাতীয় মহিলা পার্টির কমিটিও বিলুপ্তের সুপারিশ কেন্দ্রে করা হবে বলে জানান উছমান আলী।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, শোকের মাসে যুব মহিলালীগের এক নেত্রী অসামাজিক কর্মকান্ডে জনতার হাতে ধরা পড়েছেন, এর চেয়ে বড় লজ্জার আর কি হতে পারে। এরকম ঘটনায় আমাদের মাথা নিচু হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনে এরকম মানুষের ঠাঁই হবে না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র- সিলেট ভিউ ২৪
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd