পূর্নবাসন কেন্দ্র থেকে পালিয়ে ৫০ দিন ঢাকায় থাকার পর সিলেটে রুবিনা-নাসিমা

প্রকাশিত: ৫:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯

পূর্নবাসন কেন্দ্র থেকে পালিয়ে ৫০ দিন ঢাকায় থাকার পর সিলেটে রুবিনা-নাসিমা

Manual6 Ad Code

রোচনা ছিল রুবিনার। আর তাতে টোপ গিললো নাছরিন ওরফে নাসিমা। পরামর্শ করেই তারা পালায় পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে। চলে যায় ঢাকায়। সেখানে রুবিনার সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে নাছরিন। বিপথেও পা বাড়ায় তারা দু’জন। অবশেষ প্রায় ৫০ দিন ঢাকায় থাকার পর তারা ফিরে সিলেটে। আর আসার পর পরই শুক্রবার রাতে সিলেটের নগর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

Manual3 Ad Code

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবিনা ও নাছরিন জানিয়েছে- তারা পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। সেখানে পূর্ব পরিচিতদের সঙ্গে তারা বসবাস করে।

Manual1 Ad Code

সিলেটের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ জানিয়েছে- শুক্রবারই ঢাকা থেকে সিলেটে আসে রুবিনা ও নাছরিন। এরপর তারা ক্যাডেট কলেজ এলাকায় বেড়াতে বের হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে আসে। রাতেই তাদের দু’জনকে সমাজসেবা কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছে খুব বেশি তথ্য মেলেনি। তবে- তাদের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

Manual8 Ad Code

সিলেট জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা তমির হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন- তারা ফিরে আসায় আপাতত স্বস্তি ফিরেছে। এখন তারা আছে সিলেটের বাগবাড়িস্থ নিরাপত্তা হেফাজতে।

এখনো তাদের ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তবে- এ ঘটনায় কারো ইন্ধন বা সম্পৃক্ততা আছে কী না- সেটি খতিয়ে দেখা হবে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর টুকেরগাঁও বউ বাজারের আবদুল মালেকের মেয়ে নাছমিন জান্নাত নাছরিন ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে রুবিনা বেগম। তারা বসবাস করতো সিলেটের খাদিমের সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে। গত ৯ই জুলাই তারা ওই কেন্দ্রের বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর কেন্দ্রের কর্মকর্তা সিলেটের শাহপরান থানায় জিডি করেন।

কোম্পানীগঞ্জের উত্তর টুকেরগাঁয়ের নাছরিন ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। মাদকাসক্ত নাছরিন জড়িয়ে পড়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ডেও। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহারও করতো। এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এ বছরের ২৬শে জুন এক আইনজীবীর মাধ্যমে নাছরিনকে খাদিমনগরের সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে আসেন তার বাবা আবদুল মালেক ও মা রহিমা বেগম। জেলা প্রবেশন কর্মকর্তার মাধ্যমে তাকে তুলে দেয়া হয়েছিল।

নাছরিন নিখোঁজের পর থেকে তাকে নিয়ে চিন্তিত ছিল পরিবার। এখন ফিরে আসায় তারা চিন্তামুক্ত হয়েছেন। ছাতকে বাড়ি রুবিনার।

বর্তমানে সিলেট ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন শাহ জামালের বাসায় ভাড়াটিয়া সে। বিয়ে হয়েছে তার। সন্তানও আছে। স্বামীর সংসারে থাকাকালেই অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে সে। মাদকেও আসক্ত হয়ে পড়ে। এ সময় বনিবনা না হওয়ার কারণে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসে রুবিনা। একমাত্র সন্তানকে বাবার বাড়িতে রেখে সিলেট নগরীতে চলে আসে। আর চালায় অসামাজিক কাজ। সিলেটের শাহপরান থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল পুনর্বাসন কেন্দ্রে। পুনর্বাসন কেন্দ্রের ভেতরেই নাছরিনের সঙ্গে সংখ্যাতা গড়ে উঠে রুবিনার। দু’জন এক সঙ্গে থাকতো। কারো সঙ্গে মিশতো না। কখনো কখনো তারা কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতো।

Manual3 Ad Code

পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- তাদের এখন আর খাদিমের পুনর্বাসন কেন্দ্রে নেয়া হয়নি। বাগবাড়ির এতিম স্কুলের পাশের কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এখানে নিরাপত্তা বেশি। তারা যাতে আর পালিয়ে না যেতে পারে সে কারণে তাদের ওপর আলাদা নজরদারি আছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..