সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৯
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিবাহিত স্ত্রীকে ঘরে তুলে না নিয়ে নানা ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন মো. কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি শাহপরাণ (রাহ.) থানার কানুগুল এলাকার আলমাছ আলীর ছেলে।
২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মুসলিম শরিয়া মোতাবেক সুনামগঞ্জের দিরাই এলাকার বিএ-২য় বর্ষের ছাত্রী স্বপ্নাকে (ছদ্মনাম) ২ লাখ টাকা মোহরানা ধার্য্য করে বিয়ে করেন মো. কামরুল ইসলাম।
বিয়ের পর নববধূকে নিজ বাড়িতে তুলে না নিয়ে বাইরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরাঘুরি করছেন মো. কামরুল ইসলাম। স্বপ্না তার স্বামী কামরুল ইসলামকে তার বাড়িতে তুলে নিতে বারবার অনুরোধ করলেও সুচতুর স্বামী তা না করে বিভিন্ন টালবাহানার আশ্রয় নেয়। যথাযথ সামাজিক মর্যাদায় বিবাহ সম্পন্ন হলেও বিয়ের পর থেকে লোভী মো. কামরুল ইসলাম স্বপ্নার পরিবারের কাছ থেকে যৌতুক আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠে।
তাছাড়া স্বপ্না একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী এবং প্রাইভেট টিউশনি করে যে টাকা উপার্জন করেন, সে টাকাগুলোও নানা প্ররোচনা দিয়ে সময়ে সময়ে নিয়ে যায় স্বামী কামরুল ইসলাম। শুধু তাই নয়, স্বপ্নার পিতার কাছে ফার্মেসী ব্যবসা করবে বলে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
কামরুল ইসলামের এই দাবির সাথে যোগ দেয় তার বোন নাহিদা সুলতানা পারভীন, ফুফাতো ভাই নজরুল ইসলাম, এনামুল হক পাভেল, মামা খসরুল হাসান, কামরুলের পিতা আলমাছ আলীরা।
তারা সবাই মিলে স্বপ্নার পরিবারের উপর জোর দিয়ে বলে যৌতুক না দিলে কোনো অবস্থাতেই স্বপ্নাকে ঘরে তুলে নিবে না।
এমতাবস্থায় কোনো উপায়ন্তর না দেখে স্বপ্না সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারক স্বামী মো. কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের-৩ ধারায় একটি মামলা (নং-৪৮/২০১৯) দায়ের কারেন।
এই মামলায় জেলও খাটেন কামরুল ইসলাম। একপর্যায়ে জামিন লাভ করে এখন বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার ফন্দি আটছেন।
স্বপ্না জানান, তার স্বামী নিজের পরিবারের লোকদের মাধ্যমে সুকৌশলে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করে যাচ্ছেন। কামরুল নিজ বোনের বিয়ে দেওয়ার জন্য স্ত্রী স্বপ্নার কাছ থেকে ২ রাখ টাকা আনেন।
ওয়ারেন্টভূক্ত এই আসামী যাতে কোনভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পাওে, সে ব্যাপারে প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd