গোয়াইনঘাটের ওসি আব্দুল আহাদসহ ৭ পুলিশ কর্মকর্তা পুরস্কৃত

প্রকাশিত: ১০:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৯

গোয়াইনঘাটের ওসি আব্দুল আহাদসহ ৭ পুলিশ কর্মকর্তা পুরস্কৃত

Manual2 Ad Code

সিলেটের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অপরাধ পর্যালোচনা সভায় জুলাই মাসে কর্মদক্ষতায় সেরা বিবেচিত ৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নির্বাচিত হয়েছেন গোয়াইনঘাটেরে অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ। জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন তাকে এই সম্মাননা প্রদান করেন। সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে সহজেই পাওয়া যায় মদ, ইয়াবা ও গাঁজাসহ নানারকম মাদকদ্রব্য। তাই এই থানার দায়িত্বে যে ওসি আসেন তাকে প্রথমে একটু চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়। আর সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছেন থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ।

Manual5 Ad Code

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তার নেতৃত্বে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ চলতি মাসেই ৬৪ জন আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে মাদক, জুয়া, তীর খেলা এবং গ্রেফতানী পরোয়ানাভূক্ত ও সাজাভূক্ত আসামী রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, চলতি বছরের ২ আগস্ট মো. আব্দুল আহাদ গোয়াইনঘাট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন। তার যোগদানের পর থেকেই পাল্টে যায় গোয়াইনঘাট থানার চিত্র। তার এই কর্মতৎপরতার জন্য গোয়াইনঘাটের সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন যায়গায় পঞ্চমুখে ভাসিয়ে দিচ্ছেন ওই ওসিকে। ওসি আব্দুল আহাদের নির্দেশেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করছে বিভিন্ন আসামীদের। এ পর্যন্ত চলতি মাসেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আটক করেছেন ৬৫ জন আসামী।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এসব আসামীদের মধ্যে ওয়ারেন্টটভূক্ত ২২জন, সাজাপ্রাপ্ত ৮জন এবং বিভিন্ন মামলায় ৩৫জনসহ মোট ৬৫ জন আসামীকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর অন্যান্যভাবে ওয়ারেন্ট খারিজ হয়েছে ৩৫জন আসামীর। থানায় মাদক মামলা হয়েছে ১৪টি, বিশেষ ক্ষমতায় ০২টি এবং জোয়া ও তীরের মামলায় ০৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

একই সাথে আসামী আটকের পাশাপাশি ৪৯বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদ, ৭৩৫ পিছ ইয়াবা, ৩কেজি গাঁজা এবং ২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। একই সাথে ৮ হাজার শলাকা ভারতীয় সিগারেট ও ৪০হাজার শলাকা নাসির বিড়ি উদ্ধার হয়।উপজেলার সাধারণ মানুষ বলছেন, থানায় নতুন ওসি আসার পর থেকেই গোয়াইনঘাটের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উন্নতি হচ্ছে। ওনার মেধাবী নেতৃত্বে গোয়াইনঘাটের সাধারণ মানুষ স্বস্তি ফিরে পাচ্ছেন। অপরাধী যেই হোক, মুহুর্তেই সে পুলিশের খাচায় বন্দি হচ্ছে। তাছাড়া গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের প্রশংসা করে সচেতন মহল বলছেন, থানার ওসি আব্দুল আহাদ এবং ওসি (তদন্ত) হিল্লোল রায়ের মতো চৌকস পুলিশ অফিসার থাকার কারণে উপজেলায় অপরাধীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাদের কাছে কোন অপরাধীই ছাড় পাচ্ছে না।

Manual8 Ad Code

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বলেন, ইতিমধ্যে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমাদের সু-যোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম মহোদয়ের লক্ষ্য হল পুরো সিলেটকে মাদক, জুয়া, চুরি, ডাকাতিসহ প্রতিটি অপরাধ দমন করা। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট থানায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতা পেলে গোয়াইনঘাটকে মাদকমুক্ত করে গড়ে তুলা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, যারা মাদক সেবন অথবা বিক্রির কাজে জড়িত আছে তারা প্রত্যেকেই যদি অতি শীঘ্রই পুলিশের কাছে এসে অসহায় আত্নসমর্পণ করে তাহলে তাদের সমাজে ভালো হওয়ার জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে। এ নিয়ে গোয়াইনঘাটের জনসাধারণের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

August 2019
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..