‘আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে’ শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম

প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০১৯

‘আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে’ শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম

Manual3 Ad Code

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নস্থ বহুল পরিচিত বিদ্যাপিঠ ‘জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে’ প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম। প্রধান শিক্ষক কর্তৃক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন। এ নিয়ে গোটা উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশাজীবি থেকে শুরু করে প্রশাসনেও বইছে সমালোচানা।

জানা যায়, গত ৬ আগষ্ট জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শূন্যপদে প্রধান শিক্ষক পদে গোয়াইনঘাট উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিয়াইনগুল কলিম উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দীর্ঘ ১৬বছরের অভিজ্ঞতা সনদ নিয়ে জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের লক্ষ্যে মোঃ মনিরুজ্জামান নিয়োগ পান। নিয়োগ পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই নিজের ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে নিজেই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য সকল সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন। নিয়োগ অনুমোদনের জন্য রেজুলেশনের মাধ্যমে নিজের এমপিও ভুক্তির কাজ অনলাইনে সম্পন্ন করেন। যাহা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি মোটেও অবগত নয় যাহা আইন বর্হিভুত। শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় নিজের ফায়দা লুটতে স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম ফিরিস্তি ও রয়েছে এ শিক্ষকের উপর। শিক্ষক নিয়োগে পরিচালনা কমিটির স্বাক্ষর জালের খবর এলাকা তথা প্রশাসনে চাউর হলে তড়িগড়ি করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে ওই তদন্ত কমিটি স্বাক্ষর জালিয়াতির সত্যতা পেলে মোঃ মনিরুজ্জামান এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ধারস্ত হয়ে নিজের কুকর্মের বর্ণনা দিতে গিয়ে ইতিপূর্বে বেশ কয়েক জায়গায় হেনস্তার সম্মুখিন হয়েছেন।

Manual1 Ad Code

Manual5 Ad Code

নিযোগে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও পরিচালনা কমিটির সদস্য ফখরুল ইসলাম জানান, নিয়োগ অনুমোদন নিয়ে এযাবৎ কোন মিটিং হয়নি। অভিযুক্ত শিক্ষক কিভাবে কমিটির সকল স্বাক্ষর জাল করে তার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। যা শুনে আমিও বিচলিত এবং যিনি শুরুতেই জালিয়াতি করেছেন তিনি কিভাবে বহাল তবিয়তে আছেন।

Manual7 Ad Code

শিক্ষক নিয়োগে স্বাক্ষর জালিয়াতির ব্যাপারে জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শফিউল আলম সেলিম ও অভিযুক্ত মোঃ মনিরুজ্জামান’র সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে শফিউল আলম সেলিম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সাক্ষাতে বিস্তারিত আলাপ হবে। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক প্রতিবেদকের সাথে মুটোফোনে প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: নজরুল ইসলাম’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগে এমন অনিয়মের খবর আমি লোক মুখে শুনেছি এবং বিষয়টি ডিডি মহোদয়কে অবহিত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে রাখা হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয় হবে।

এব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্বাক্ষর জালিয়াতি যদি হয়ে থাকে তা হলে কিভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অভিযুক্ত শিক্ষককে নিয়ে একাধিক মিটিং পরিচালনা করেন আমার বোধগম্য নয়।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

August 2019
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..