সিলেট ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৪ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০১৯
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের তামাবিল, সোনাটিলা ও সংগ্রামপুঞ্জি সীমান্ত দিয়ে রাতের আধারে লক্ষ লক্ষ টাকার খাবার মটর ভারতে পাচার করছে চোরাকারবারিরা। কিন্তু নিরব ভূমিকায় স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তামাবিল, সোনাটিলা ও সংগ্রামপুঞ্জি সীমান্ত দিয়ে বিগত কয়েক দিন থেকে পূর্ব জাফলং এলাকার নয়া বস্তীর গ্রামের সামছু মিয়া, লন্ডনী বাজারের হানিফ (মেম্বার) ও নবখন্ড গ্রামের জবেদ আলীর পূত্র কালা সুমছুর নেতৃত্বে প্রতিদিন রাতে আধারে ট্রাক ভর্তি মটর পাচার হচ্ছে ভারতে। আর লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই চোরাকারবারিরা।
রহস্যজনক কারণে স্থানীয় বিজিবির সদস্যরা এই অবৈধভাবে পাচার হওয়া মটর আটক করছে না। যার ফলে এখানকার বিজিবি সদস্যদের উপর থেকে আস্তা হারিয়ে ফেলছে স্থানীয় লোকজন।
জানা যায়, পূর্ব জাফলংয়ের নয়াবস্তি গ্রামের সামছু মিয়া থানা পুলিশের নামে প্রতি বস্তা মোটর থেকে ১শ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। আর লন্ডনী বাজারের হানিফ মিয়া ছিলো গত নির্বাচনে ইউপি সদস্য প্রর্থী সে নির্বাচনে হারিয়ে এখন সে সবচেয়ে বড় চোরাকারবারী। হানিফ মিয়া স্থানীয় বিজিবি সদস্যদের নামে প্রতিদিন রাত লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে। হানিফের সাথে রয়েছে কাল সামছু সহ আরো কয়েকজন চোরাকারবারী তার প্রতিদিন রাতে বিজিবির নামে বস্তা প্রতি ২শ টাকা করে চাঁদা তোলেন। এমনকি তাদের সাথে উচ্ছ গ্রামের আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ১৬ জুলাই উপজেলা ট্রাস্কফোর্সের এক সভায় এ সিদ্বান্তে জানানো হয়েছে সীমান্ত এলাকায় সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে ইষ্ট খাসিয়াা হিল(অউগ) কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারী।
কিন্তু সীমান্ত এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের যাওয়া নিষেধ থাকলেও রাতের আধারে চোরাকারবারিরা শত শত বস্তা খাবার মটর পাচার করছে ভারতে। তামাবিল, সোনাটিলা,সংগ্রম সীমন্ত এলাকায় সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় চোরাকারবারিদের রংঙ্গলিলা। বিজিবির হাতের নাগালেই চলছে এ অবৈধ কার্যকম। বিজিবি কি পারছে না এ চোরাচালান রোধ করতে। এই চোরাকারবারিরা অবৈধ ভাবে ভারতে খাবার মটর পাচারের কারনে দেশের বাজারে মটরের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নয়াবস্তি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইনছান আলী বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা এই দেশের জন্য বৃদ্ব বয়সে ও জীবন দিতে পারবো। কিন্তু দেশের সম্পদ ভারতে পাচার হচ্ছে কিন্তু কেউ তার কোন প্রতিবাদ করছেনা। দেশের খাবার ভারতে পাচার বন্ধের জন্য তিনি প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এছাড়া বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে খাবার মটর ভারতে পাচার বন্ধের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
এ ব্যপারে সিলেট ৪৮ বিজির সিওর বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোটো ফোন রিসিভ করেননি। যার ফলে সিওর কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উচ্চ গ্রামের আরও অনেক চোরাকারবারীরা জড়িত রয়েছেন আসছে বিস্তারিত—
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd